পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাও করা হয়েছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আজম মিয়া।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে ডিবির ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে জিমির বিরুদ্ধে মাদকের ওই মামলাটি করেন। ডিবি মামলাটির তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: পরীমনির সহযোগী জিমি আটক ডিবির হাতে
এর আগে গতকাল গুলশানের একটি শুটিং স্পট থেকে জিমিকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
ডিবি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা সে সময় বলেন, জিমিকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে পরীমনির সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জুন মাসে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনার সময় সফর সঙ্গী ছিলেন কস্টিউম জিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমি। ওই সময়ে পরীমনির বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনের সময়ও জিমিকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে যেকোনো সময় আটক করা হতে পারে বলে জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পরীমনিকে বাসায় নিয়ে যাওয়া সেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা প্রত্যাহার
প্রসঙ্গত, পরীমনির অন্ধকার জগতের অন্যতম সাহায্যকারী জিমি। যাকে নিয়ে রাত-বিরাতে বিভিন্ন ক্লাবে পার্টিতে পরীমনিকে অংশ নিতে দেখা গেছে। জিমি পরীমনির সঙ্গে সঙ্গী হয়ে অনেক দেশ ঘুরতে যেতেন। তার সঙ্গে বিত্তবানরা থাকতো। বিনিময়ে জিমি তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো।
মডেলিং ও সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি পরীমনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে সেখানে ব্যবসায়ীদের দাওয়াত দিয়ে টাকা নিতেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেশে-বিদেশে ঘুরতে গিয়ে একজনের মাধ্যমে আরেকজনের পরিচয় হতো। একই পন্থায় তাদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতানো হতো।
একাত্তর/আরএ