পরীমনিকাণ্ডে এবার সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) রাজধানির গুলশান মডেল থানায় ব্যাংকের পক্ষে প্রধান কোর্ট অপারেশন কর্মকর্তা গাজী এম শওকত হাসান ডায়েরিটি করেন। সাধারণ ডায়েরির নম্বর ৫০০।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন অভিনেত্রীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সাথে সিটি ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ নানা পেশার বেশকিছু মানুষের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রকাশিত একটি তথ্য প্রচার করা হয়। উক্ত সংবাদের মধ্যে সিটি ব্যাংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা জড়িত বলে একটি অসমর্থিত, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এই তথ্যকে পুঁজি করে সমাজের কিছু স্বার্থাণ্বেষী ব্যক্তি, অসাধু শ্রেণীর প্রতারক ও চাঁদাবাজ শ্রেণীর লোক বিভিন্নভাবে ব্যাংকের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের নাজেহাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে অথবা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এরূপ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে অত্র ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টায় এবং ব্যাংক হতে অবৈধ পন্থায় অর্থ লাভের আশায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং ভবিষ্যতে করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্ধ হচ্ছে মডার্নার প্রথম ডোজ টিকাদান!
ফলে অজ্ঞাতনামা স্বার্থাণ্বেষী মহলের এহেন কার্যক্রমে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, মানসিক উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। উপরোক্ত ঘটনায় সিটি ব্যাংক এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বা স্বার্থাণ্বেষী মহল উপরোক্ত পন্থায় অথবা অন্য কোন উপায়ে ব্যাংক হতে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসাতের অশুভ পাঁয়তারা করছে বা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একইসাথে এ ধরণের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ভুয়া সংবাদ, কুৎসা এবং মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার করে ব্যাংকের কাছ থেকে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে সাধারণ জনগণের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আশঙ্কা থাকে বিধায় এরূপ চাঁদাবাজ-প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরী, অন্যথায় ব্যাংক ও ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এর আগে পরীমনিকাণ্ডে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন এবং সাধারণ ডায়েরি করা গাজী এম শওকত হাসানের নাম আসে বিভিন্ন মাধ্যমে।
একাত্তর/আরএইচ