টাকার বিনিময়ে নিম্নমানের সৌর বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, টাকা না দিয়েই শুধু কাগজে বিদ্যুৎ দিয়েছে বহু মানুষকে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রকল্প পরিচালক আশীষ কুমার বড়ুয়া দাবি করেছেন, বিক্রি করে দেয়ায় তালিকায় নাম থাকার পরেও কারো কারো ঘরে সোলার নাও পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশেই বিনামূল্যের সৌর বিদ্যুৎ বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীল নীতি প্রমাণের জন্য হলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করেন তিনি।
বান্দরবানের রুমা উপজেলার গ্যালেঙ্গা ইউনিয়নের এলিজাবেথ ও মেরিনা ত্রিপুরার মতো বহু মানুষ কেবল কাগজে কলমেই সৌর বিদ্যুত পেয়েছেন। কারণ তারা টাকা দিতে পারেন নি। উন্নয়ন বোর্ডের কথা বলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবার কাছ থেকেই ২ হাজার করে টাকা আদায় করেছেন। তিনমাস থেকে এক বছরের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে বেশিরভাগ সৌর প্যানেল। ফলে আগের মতো অন্ধকারেই আছেন তারা।
এদিকে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে যারা টাকা নিয়েছেন তারা নয়, বরং যারা টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁদেরই অপরাধী বলছেন প্রকল্প পরিচালক।
বিনামূল্যের সৌর বিদ্যুৎ থেকে টাকা আদায়ের কথা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী। যদিও মন্ত্রীর কাছে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন এলাকাবাসি। তবে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো সরকারের একটি জনবান্ধব উদ্যোগও কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান টিআইবির এই ট্রাস্টি।
পাহাড়ে ঘরে ঘরে সৌর বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার প্রশংসিত এই উদ্যোগ চালু রেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরাও।
একাত্তর/ এনএ