দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী ট্রেনেও সামাজিক দূরত্ব মানেননি
যাত্রীরা। রেল কর্মকর্তারা জানান, স্টেশনে ঢোকার সময় মুখে মাস্ক থাকলেও ভেতরে ঢোকার
পর খুলে ফেলেন বেশিরভাগ যাত্রী। আর যাত্রীরা জানান অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে তারা স্বাস্থ্যবিধি
মানতে পারেননি।
কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানলেও বেশিরভাগই তা মানছেন না। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এরপরও জরুরি প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে ভ্রমণ করতে হচ্ছে।
বুধবার ভোর ৬টা ৪০মিনিটে প্রথম রাজশাহী স্টেশন ছাড়ে খুলনাগামী আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি। এরপর ছেড়েছে বনলতা, মধুমতিসহ লোকাল ট্রেন।
পশ্চিমাঞ্চলের মোট ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে চলাচল করে। এছাড়া মেইল ট্রেন চলে তিন জোড়া। কমিউটর ট্রেন চলে দুই জোড়া।
যাত্রীরা যেনো মাস্ক ছাড়া স্টেশনে না ঢুকতে পারে সেজন্য ছিলো কড়া পাহারা। তার পরেও স্টেশনের ভেতরে সাস্থ্যবিধি ছিলো না। ট্রেন আসার পর গাদাগাদি করেই ট্রেনে ওঠেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: দোকানপাট খুললেও নির্দেশনা মানছেন না কেউ
একইভাবে সকাল সাতটায় শতভাগ যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রওনা হয় আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস। এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যে যায় ১১টি ট্রেন চলাচল করে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়েছে আন্তঃনগর হাওর ও তিস্তা এক্সপ্রেসসহ সাত জোড়া ট্রেন। ট্রেনের কামরাগুলোতে যাত্রীদের ভিড়ে উধাও হয় স্বাস্থ্যবিধি।
যাত্রীদের মাস্ক ছাড়া স্টেশনে ঢুকতে দেয়নি খুলনা রেল কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ছাড়ে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন।
একাত্তর/আরবিএস