বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা চালায় এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ-জাতির স্বার্থকে বিসর্জন দেয়।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি একথা জানান।
কাদের বলেন, অনিয়ম করে যারা প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে বা পাঠাবে তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ- খবর নেওয়া হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না জানিয়ে কাদের বলেন, এবারও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের ভবিষ্যতে কোনো পদ-পদবি ও মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা বিদেশিদের কাছে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ দেশের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে শেখ হাসিনা সবসময় আপোষহীন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যদি তিনি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব সমর্থন করতেন, তাহলে ২০০১ সালেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন।
বিএনপির গণআন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ এখন তাদের এ গণআন্দোলনের আহ্বানের ডাক শুনলে হাসে। কারণ ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেয়নি। এই মুহূর্তে গণআন্দোলনের বস্তুগত কোনো উপাদান নেই। অতীতের মতো এবারও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দিবে না।
আরও পড়ুন: কলাবাগান মাঠে পূজার অনুমতি দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সরকার নাকি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে ভোটে আসবে না। আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবে না। সংসদে তো বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছে। তাহলে একদলীয় শাসন হয় কিভাবে? বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে যা করেছিল, জাতি তা ভুলে যায়নি। বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা।
একাত্তর/এসি