সরকারকে পদত্যাগ করে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নচেৎ পালাবার পথ পাবেন না।
শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেল পৌনে চারটার দিকে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর সড়ক নেতাকর্মীদের পাদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা র্যালির মধ্য দিয়ে সরকার পতনের বাণী পৌঁছে দিতে চাই। সরকারের দিন শেষ, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসিবাদীদের মতো পরিণতি হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে চাল, ডাল, তেলের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চেলে গেছে, নেই গণতান্ত্রিক অধিকার।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন দুর্বিষহ। দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত নন বলে মানুষের কথা তারা ভাবেনা। এসময় তিনি এই উৎসাহ, উদ্দীপনা বজায় রেখে আগামী দিনের আন্দোলনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার সঙ্গে জিয়ার নাম জড়িত। ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সেই সময়ের আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলেই জিয়ার ভূমিকা অস্বীকার করে তারা। বাকশালের মত আবার গণতন্ত্র হত্যা করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। হাইব্রিড সরকার দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। জনগণের দাবি, সরকারকে হটাতে হবে।
শোভাযাত্রা উপলক্ষে দুপুর ১২টার পর পর বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঢোল তবলা বাজিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নয়াপল্টনে জমায়েত হতে থাকে। র্যালিতে অংশগ্রহণ করা নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: মাটিচাপায় এক পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু
স্বাধীনতা র্যালির শুরুর আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।
স্বাধীনতা র্যালিটি নয়াপল্টন, বিজয়নগর ,পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
একাত্তর/এসি