বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যেসব রিপোর্ট জাতিসংঘের কাছে পাঠানো হয় সেগুলো রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টসহ দেশের রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণ করা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ।
এসময় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা সফররত জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের সাথে আগেই বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার তার সাথে বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। সকাল ৮টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা চলা এই বৈঠকে নেতারা তাঁকে বলেছেন, আওয়ামী লীগই বরং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার।
তাঁর কাছে ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি সরকারের সময়ে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করা হয়েছে ২৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খুন হয়েছেন অন্তত ২৬ হাজার নেতাকর্মী।
এখন যারা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘসহ নানা সংস্থার কাছে অভিযোগ করছে, তাঁরা বিএনপি আমলের এই তথ্যগুলো আড়াল করেছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সংকটের মূল্য দিচ্ছে বাংলাদেশ: কাদের
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে রাজনৈতিক অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলও পৃথিবীর সব দেশেই মানবাধিকার নিয়ে অনেক সমস্যা আছে বলে আওয়ামী লীগকে জানায়। তারা মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। বৈঠকে মআংগোভেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
একাত্তর/এসজে