জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের মাধ্যমেই দেশে গুম খুনের অপরাজনীতি চালু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
তাদের অভিযোগ, ভোটবাক্স ছিনতাইসহ নির্বাচনকে কলুষিত করার সংস্কৃতিও বিএনপির সৃষ্টি।
দলটির নেতারা বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সংবিধানের বাইরে কোনো কিছু করা হবে না।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক সাম্যবাদী দলের নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় জোটের নেতারা বলেন জিয়াউর রহমানের পর বিএনপিই বঙ্গবন্ধুর খুনি ও অপরাজনীতির অন্যতম বাহক।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জেলহত্যা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ দেশে সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পিছনেই জিয়া পরিবার। তাই রাজনীতি থেকে তাদের বিদায় করলেই দেশে গুম খুন বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি যার কাছেই ধর্না দিক, সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না। সংবিধান বহির্ভূত ধারায় মানুষের কোন কল্যাণ হবে না।
আরও পড়ুন: নেতাকর্মীদের ত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না: ফখরুল
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ভুয়া ভোটার তৈরি, ভোটবাক্স ছিনতাই, ভোটকেন্দ্র দখলের সংস্কৃতি শুরু হয় বিএনপির হাত ধরে। তারা বারবার নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। এবারও নির্বাচন কমিশনের কোন আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু বিএনপি না এলেও দেশে সংবিধান মতোই নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যতো ষড়যন্ত্রই হোক, অতীতের মতো এবারও বিএনপিকে রাজপথেই মোকাবেলা করা হবে।
একাত্তর/এসি