দেশে এখন সহিংস রাজনীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, জোর জবরদস্তি করে আগামী নির্বাচন করার চেষ্টা করছে সরকার।
বিষয়টিকে দেশ ও জাতির জন্য দুঃখজনক উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির এই শীর্ষ নেতা বলেন, চলমান সহিংস রাজনীতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত।
শনিবার দুপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া জাপা নেতা সফিকুল ইসলামকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিদের এসব কথা বলেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই নানা ইস্যুতে গরম রাজনীতি অঙ্গন। আগামী নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি জানান দিতেই মাঠে নেমেছে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো।
ঘটছে সহিংস ঘটনাও। এর বাইরে নয় জাতীয় পার্টিও। ঢাকা মেডিক্যালে দলের আহত নেতা শফিকুলকে দেখতে গিয়ে জি এম কাদের বলেন, দিনে দিনে রাজনীতি সহিংস হয়ে উঠছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জানান, তার দলের নেতারাও নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তবে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও এর জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, কথা বলা, সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার থাকতে হবে। স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্থ হলে সহিংস রাজনীতি আসে। যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।
জাপা নেতা বলেন, সহিংসতার মাধ্যমে জোরজবরদস্তির একটি নির্বাচন হবে, সরকারি দল থেকে এমন মেসেজ আমরা পাচ্ছি। এটা দেশ ও জাতির জন্য দুঃখজনক।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, মঠবাড়িয়ার তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা সফিকুল ইসলামকে সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনে লড়েছে। ফলে সরকার সমর্থকেরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পারেনি।
নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগের হয়রানিমূলক মামলা ও হামলার শিকার হচ্ছেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা।
এমন একটি হয়রানিমূলক মামলায় হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন সফিকুল ইসলাম। পথে হামলার শিকার হন তিনি।
সফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছিল। সময়মতো তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া না হলে তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল।
তাঁকে আজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বাঁচতে হবে। আমরা দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ সময় জাতীয় পার্টির যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ আবু তৈয়ব, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম ও যুগ্ম যুববিষয়ক সম্পাদক দীন ইসলাম শেখসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।