সরকার পতনে বিএনপির ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি, বিএনপির আন্দোলন জনগণের মধ্যে কোন ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই মনে করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা করেন, চট্টগ্রামে দলটির সমাবেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যকে বিএনপির যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে সখ্যর বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির পর আবারও সক্রিয় তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তার বাবাসহ দণ্ডপ্রাপ্ত সব যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের পক্ষে প্রতিশোধের হুঙ্কার দেন হুম্মাম কাদের। স্লোগান দেন জামায়াতে ইসলামীর। যদিও সেই স্লোগানকে নিজেদের নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতাদের।
আওয়ামী লীগ বলছে, হুম্মাম কাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যই আসলে বিএনপির বক্তব্য। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে দলটি যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে, ঠিক একইভাবে যুদ্ধাপরাধীর ছেলের বক্তব্যের দায়ও নিতে চাইছে না বিএনপি।
ক্ষমতাসীন দলের জেষ্ঠ্য নেতারা বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সখ্যতা কখনও ছিন্ন হবে না, মুখে না বললেও, জামায়াতের সঙ্গেই আছে আছে। অস্বীকার করার বিএনপির এক ধরনের রাজনৈতিক অপকৌশল বলেও মনে করছেন তারা।
আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের যে করুণ পরিণতি হবে সেটাই ফুটে উঠেছে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে। তবে জনগণ তাদের এই ডাকে সাড়া দেবে না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী ও দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারগুলোর আশ্রয়কেন্দ্র বলেও অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
উল্লেখ্য, বুধবার চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিলো বিএনপি। সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি বিভাগে বিভাগে যে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে, এই সমাবেশ ছিলো তারই অংশ।
সেই সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের। তিনি বক্তব্য দেওয়ার পর ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান তোলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের। তার ফাঁসির রায় কার্যকর হয় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর। তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ‘নারায়ে তকবির’ বলে স্লোগান দিতেন।
পরের দিন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী যে স্লোগান তুলেছিলেন, তা তাদের নয়।
একাত্তর/এসি