বিএনপিকে ধ্বংস করতে সরকার ‘উঠে পড়ে’ লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে ফারুক সরকারের উদ্দেশে বলেন, যতই তালবাহানা করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হবে না।
ভারতীয় পণ্য বর্জন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এক মানববন্ধনে সাবেক এই চিফ হুইপ আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক সরকারকে সহায়তা করছে, বাংলাদেশে আগ্রাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সেজন্য বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে।
তিনি বলেন, মানুষের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করার উদযাপন করছে সরকার। ক্ষমতার একশো দিন নয়, লুটপাট দুর্নীতির উদযাপন করছে।
ফারুকের দাবি, বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপি পিছু হটেনি, আন্দোলনে শক্তি সঞ্চার হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। জয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হবেই। প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। যত মামলা, অত্যাচার নির্যাতন করেন লাভ হবে না।
ভারতের পণ্য বর্জন আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা ফারুক বলেন, ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে আমরা নই, আমরা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।
জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, যুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন করেছিলাম সেই স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা আজ এই দেশের জনগণের ওপরই ব্যবহার করা হচ্ছে। যে ভারতকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্ধু ভাবতাম, সেই ভারত আজ বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর পাথরের মতো চেপে বসে আছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন তাহলে কেন এই অবৈধ সরকারের অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। কেন অগণতান্ত্রিক আগ্রাসন চালাতে সাহায্য করছেন। ভারতের পণ্য বর্জন আন্দোলন চলছে, চলবে।
বাংলাদেশের সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা গণতন্ত্রকে হত্যা করবেন, বিরোধীদের নির্যাতন করবেন এটা দেশের জনগণ মানবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন, আপনারা কোনো সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন একবার দেশে জনগণের সামনে বলুন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব একজন বড় দলের নেতা, তার কথা সংযত হওয়া উচিৎ। আওয়ামী লীগকে বলতে চাই, বিএনপিকে আপনারা নিশ্চিহ্ন করতে পারবেন না।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয় সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ. সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা রায়, জাতীয়তাবাদী নবীন দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানাসহ অন্যরা।