নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান শর্ত শিথিলের আবেদন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করা নিয়ে জটিলতা থাকায়; সময় বাড়ানোর আবেদন করার কথাও ভাবছেন দলটির নেতারা।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সব দলের মতো একই নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আবেদন করা উচিত এনসিপির। প্রয়োজনে আবেদন করতে পারে নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ধারণ করে গেল ২৮শে ফেব্রুয়ারি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নতুন দলের নেতৃত্বে আছেন জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ সারির নেতারা।
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে হবে দলটিকে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এরিমধ্যে দল নিবন্ধনের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, নিবন্ধনের শর্ত পূরণে কাজ শুরু করেছেন তারা।
তবে নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে দলে অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকা, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মোট ভোটের ন্যুনতম পাঁচ শতাংশ পাওয়া এবং এক তৃতীয়াংশ জেলা ও দুশ’ উপজেলায় দলীয় কার্যালয় থাকার বিধান নিয়ে প্রশ্ন আছে দলটির নেতাদের।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলছেন, সব দলের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করেই নিবন্ধনের জন্য এনসিপির আবেদন করা উচিত। শর্ত পূরণের জন্য তারা নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদনও করতে পারেন। এছাড়া চলমান সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার তাগিদাও দিয়েছেন এই বিশ্লেষক।