আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপর সবগুলো রাজনৈতিক দল। ভোটের রাজনীতিতে সফলতা পেতে বিভিন্ন দলের মধ্যে নতুন জোট গঠনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রাজনীতির মাঠে। জোটের গুঞ্জনে পিছিয়ে নেই ইসলামি দলগুলোও।
ভোটের সমীকরণ মাথায় রেখে দেশের ইসলামি দলগুলোর সম্ভাব্য ঐক্য কতটা এগুলো, নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলো একমঞ্চে আসছে কিনা- সেই খবর জানার চেষ্টা করেছে একাত্তর টেলিভিশন।
দেশে ইসলামি ভাবধারার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা মোট ১২টি। আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করলেও আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলটির নিবন্ধন ফিরে পাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
রাষ্ট্র পরিচালনা, দলীয় মূলনীতি ও ইসলামি আকিদা’র প্রশ্নে এই দলগুলোর মধ্যে বিভেদ ও মতপার্থক্য বরাবরের। যে কারণে অতীতে কখনও এই দলগুলোকে ভোটের মাঠে কোন ঐক্য গড়তে দেখা যায়নি।
কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবার জোটবদ্ধ নির্বাচনের কথা ভাবছে অধিকাংশ ইসলামি দল। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনাও হয়েছে বহুবার। যদিও চূড়ান্ত কথা বলার সময় এখনও আসেনি, তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ভাবেই ভাবছেন দলগুলোর নেতারা। জোটবদ্ধ না হলেও আসন সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
দেশের সবচাইতে বড় ইসলামি দল জামায়াতে ইসলামী। দেশের ইসলামি ভাবধারার দলগুলোকে এক মঞ্চে নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দলটি।
জামায়াতের দুই নেতা গোলাম পরওয়ার ও হামিদুর রহমান আজাদ বলছেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে জোট গঠনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। একক বা কিংবা জোট- দু’ভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
তবে সম্ভাব্য জোট নিয়ে শতভাগ আশাবাদী ইসলামি আন্দোলন। দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলছেন, জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে দোদুল্যমান ভোটারদের একটি বড় অংশের সমর্থন পাবেন তারা।
আগামী নির্বাচনে জোট গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী খেলাফত মজলিশও। সব কিছু ঠিক থাকলে নির্বাচনের আগেই ইসলামি শক্তিগুলোর সম্ভাব্য একটি ঐক্য মোর্চা জনগণ দেখতে পাবেন বলে আশাবাদী দলগুলোর নেতারা।
আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা না এলেও ভোটের আগে ইসলামিক দলগুলো এক মঞ্চে আসছে; এমন ইঙ্গিত মিলেছে নেতাদের বক্তব্যেই। তবে জোট গঠনের এই সমীকরণ কতটা মিলবে বা ভোটের রাজনীতিতে তারা কতটা সফলতা পাবে, সেই হিসাব নিকাশই করছে দলগুলো।