বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ‘স্প্রেডশিট’ (টেবিল আকারে) আকারে পাঠিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে। স্প্রেডশিটে হ্যাঁ/না ভোটের পদ্ধতির সমালোচনা করেছে বিএনপি। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিভিন্ন কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দিতে সব রাজনৈতিক দলের সাথে ঐকমত্য কমিশন আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার শেষে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় বলে জানিয়েছে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ। অন্যদিকে, সংস্কারের প্রতি জনগণের আকাঙ্ক্ষা উঠে যায়, এমন দীর্ঘ সংস্কার হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে গেলো ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার উদ্দেশে কাজ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় বসে কমিশন।
সকাল সাড়ে দশটায় বৈঠক শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দিতে সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার শেষে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় ঐকমত্য কমিশন।
বিএনপির পক্ষ থেকে কথা বলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এসময় সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ার ব্যাপ্তি এত দীর্ঘ হওয়া উচিত নয়, যাতে জনগণের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা শেষ হয়ে যায়।
তবে প্রথম দিনের বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্প্রেডশিটে হ্যাঁ/না ভোটের পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্প্রেডশিটে সংক্ষিপ্ত হ্যাঁ/না জবাব দেয়ার জন্য যে কাগজগুলো দিলো, তাতে করে অনেকটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, মিস লিড করা হয়েছে।
এছাড়া, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধন বিল, আস্থা বিল ছাড়া অন্যসব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের মত দেবার সুযোগ রেখে ৭০ নং অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের পক্ষে বলেও জানিয়েছে বিএনপি।