এদিকে সরকার আন্তরিক হলে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করে দলটি। কিন্তু নির্বাচন কেন দিতে দেরি হচ্ছে তার কোনো উত্তর পাচ্ছে না বিএনপি। দলের নেতারা বলছেন, সংস্কার শেষে নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো কারণ নেই। তবে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না পেলেও এখনই কঠোর কোনো কর্মসূচিতে যেতে চায় না বিএনপির হাইকমান্ড।
ভোট হবে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে' সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্পষ্ট রোডম্যাপ না পেলেও বিএনপি নেতারা বলছেন, সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে জাতীয় সনদ তৈরিতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না। তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনও প্রস্তুত। নির্বাচন বিলম্বে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল পাচ্ছে না তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐকমত্যে সবাই মতামত দিয়ে ফেলেছে। সুতরাং কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে সেটা করতে এক মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। জাতীয় সনদ করতে আরও যদি দুই মাসও লাগে এরপর আর কিছু থাকছেনা। নির্বাচন কমিশন বলেই দিয়েছে তারা প্রস্তুত। সুতরাং ডিসেম্বরের আগেও তো নির্বাচন হতে পারে। এই ডিসেম্বরের বাইরের সময় কেন, এটার উত্তর আমরা পাচ্ছি না।
যদিও ভোটের সময় নিয়ে সরকার প্রধানের বক্তব্যে একমত হতে না পেরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও এখনই মাঠ পর্যায়ে বড় কোন কর্মসূচিতে আগ্রহী নয় বলে জানান, দলটির এই নীতিনির্ধারনী সদস্য।
খসরু বলেন, আমরা দেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। শেখ হাসিনার আমলে যথেষ্ঠ সাংঘর্ষিক রাজনীতির কারণে সমাজ, রাষ্ট্র সব কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বের হয়ে এসে একটা সহনশীল রাজনীতিসহ এক অপরের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেও যেন আমরা সম্মানজনক অবস্থানে থেকে সহাবস্থা করতে পারি- এটাই বিএনপির অবস্থান। সুতরাং আমরা সেটাই চেষ্টা করছি।
নির্বাচন গণতন্ত্রের বাহন উল্লেখ করে যারা এটি বিলম্বিত করছেন তাদের উদ্যেশ্য ভিন্ন বলেও মনে করেন এই বিএনপি নেতা।