আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনও।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হলে দেশের আরও বিভিন্ন স্থানে এমন ‘ব্লকেড’ কর্মসূচির খবর পাওয়া গেছে। তবে শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও এমন ব্লকেড কর্মসূচি না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (১০ মে) ভোরে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট দিয়ে এই আহবান জানান তিনি।
হাসনাত লেখেন, ‘শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারা দেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না।’
তবে দেশের জেলা শহরগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। পোস্টে লিখেছেন, জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না। ব্লকেড খুলে দিন।
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেল তিনটা থেকে এ গণজমায়েত শুরু হবে।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে শাহবাগে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন হাসনাত।
এদিকে গত রাত থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছে এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা। শনিবার বিকেলে গণজমায়েতের ডাককে বলা হচ্ছে, এটা হবে গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় পর্ব। আন্দোলনকারীরা তিন দফা দাবি তুলেছেন। আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা, দলটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলগত বিচার নিশ্চিত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।
শনিবার সকাল থেকে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ও অবস্থান চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে।
আন্দোলনকরীরা বলছেন, দাবি আদায় না হলে সারা দেশ থেকে ঢাকামুখী মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।