তা তুমি যতোই গুনি হও, তুমি কিন্তু ভীষণ কালো। দুনিয়া জোড়া কালোদের গল্পগুলো যেনো এমনই হতাশায় মোড়া। তারপরও হাজারো বাধা টপকে বিশ্বজুড়ে চলছে কালো মানুষদের জয়গান। কোবি ব্রায়ান্ট, ব্রায়ান লারা, নাওমি ওসাকা কিংবা সেরেনা উইলিয়ামস ক্রীড়াঙ্গনের গর্বের নাম। অক্টোবরে পালিত হয় ব্ল্যাক হিস্টরি মান্থ।
পর্দায় যাদের দেখছেন তারা প্রত্যেকেই বড্ড অসুন্দর, তাদের দেখলে ভয় হয় ভীষণ, এই মুখের হাসিগুলোও যেনো বয়ে আনে এক পৃথিবী অমঙ্গল। কেনো জানেন? কারণটা ওদের গায়ের রং।
কালো কাক, কালো বিড়াল কিংবা কালো মানুষ। কালো মানেই তো অশুভ। কী প্রাচ্যে, কী পাশ্চাত্যে সাদা কালোর বিভেদ চলছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। সাদা কালোর এই বিভেদ দূর করতে ১৯৩০ সাল থেকে অক্টোবর মাস জুড়ে পালন করা হয় ব্ল্যাক হিস্টরি মান্থ।
পুরুষের চেয়ে এই যুদ্ধে নারীদের রক্তরক্ষণ বরাবরে মতোই বেশি। তাইতো এমন দিনে স্মরণ করতে চাই সেসব সর্বংসহা নারী অ্যাথলিটদের যারা জীবনের সব প্রতিঘাত দূরে ঠেলে পৌছে গেছেন সফলতার শিখরে ।
অ্যালথিয়া গিবসন, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী টেনিস খেলোয়াড় যে কিনা জিতেছিলেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ১৯৫৭ সালে উইম্বলডন জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন পুরো পৃথিবীতে। শুধু তাই নয় এই টেনিস লেজেন্ড প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী যিনি অংশ নিয়েছিলেন গলফ টুর্নামেন্টে।
সালটা ১৯৪০, যুক্তরাষ্ট্রের উইলমা রুডলফ, পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে হারিয়েছিলেন চলৎ শক্তি । সেই কালো বর্নের মেয়েটাই ১৯৬০ অলিম্পিকে অংশ নিয়ে চিতার মতো গতিবেগে ঝড় তুলেছিলেন ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে।
সর্বকালের দ্রুততম নারী ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ জয়নার, কালো রং থোরাই কেয়ার। ফ্লো-জোর আউট ফিট, রানিং স্যট দুনিয়ার কাছে সেই কালো মেয়েটাকে পরিচিত করেছে ফ্যাশন আইকন হিসেবে।
দেরার্তু টুলু, প্রথম আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ নারী, অলিম্পিকে দশ হাজার মিটার স্প্রিন্টে জিতেছিলেন গোল্ড মেডাল। টুলুর দেখানো পথ ধরে এরপর এগিয়ে আরও আফ্রিকান নারী।
এত শত অর্জনের পর আজও কালো মানুষরা অবহেলিত আগেরই মতো। তা নাহলে শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে দম ফেটে জীবন দিতে হতো না জর্জ ফ্লয়েডকে।
তবুও যেন প্রত্যাশা, আকাঙ্খা- শরীর নয় বরং দূর হোক মনের কালো, তবেইতো আলো তবেইতো অর্জন। আর তখনই হেসে উঠবে বিশ্ব ব্রক্ষান্ড।
একাত্তর/ এনএ