টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম পর্ব ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী পাপুয়া নিউগিনি, ওমান এবং স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাপুয়া নিউগিনির চেয়ে অনেক শক্তিশালী হলেও প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা কোনো ভয় পায় না। নিজেদের ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস রেখেই খেলতে নামতে চায় মাঠে।
টুর্নামেন্টে নিজেদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং প্রথম ম্যাচ নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে গ্রুপে তাদের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা।
বাংলাদেশের বিশ্বমানের স্পিন আক্রমণের মুখে পাপুয়া নিউগিনির খেলার কৌশল কী হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় দেশটির অধিনায়ক আসাদ ভালার কাছে। প্রশ্নের জবাবে বেশ আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দেন আসাদ ভালা। তিনি জানিয়ে দেন, তারা নিজেদের দেশকে গর্বিত করতে চায়। একই সঙ্গে সতীর্থদের মুহূর্তগুলোকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে চান।
পাপুয়া নিউগিনি অধিনায়ক আসাদ ভালা বলেন, আমাদেরকে বিশ্বমানের, অন্যতম সেরা স্পিন আক্রমণের মুখোমুখি হতে হবে। এটা আমাদের জানা আছে। এ বিষয়টা সামনে রেখেই আমরা অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এখন আমরা যে কতটা উত্তেজিত এবং নিজেদেরকে প্রকাশ করার জন্য যে কতটা উদগ্রীব হয়ে আছি, সেটা দেখাতে চাই। আমরা নিজেদের মত করেই খেলবো এবং নিজেরাই নিজেদের খেলায় আনন্দ খুঁজতে চাই।
ফিল্ডিং বিভাগ নিয়ে খুবই গর্বিত আসাদ ভালা। তিনি বলেন, আমাদের গর্ব হচ্ছে ফিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট। অন্যান্য বিভাগেও আমরা সমানতালে ভালো করতে চাই। পুরো দলটাকেই অলরাউন্ড দল হিসেবে তৈরি করতে চাই। আমরা নিজেদের সেরা নিয়ে মাঠে হাজির হবো এবং নিজেদের দেশকে গর্বিত করার চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন সিএ চেয়ারম্যান এডিংস
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই ওমানের মুখোমুখি হবে পাপুয়া নিউগিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই তাদের প্রথম ম্যাচ। ওই ম্যাচ নিয়ে অধিনায়ক আসাদ ভালা বলেন, সত্যি বলতে, এটা হচ্ছে আমাদের জন গৌরবময় এবং ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত। অনেকদিন পর আমাদের এমন একটি মুহূর্ত সামনে এলো। অনেকবারই আমরা বিশ্বকাপ খেলার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর সম্ভব হয়নি। এবার আমরা সেটা অর্জন করেছি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য আর মাত্র দু-একদিন সময় হাতে আছে। আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে। রোববারের ম্যাচের জন্য ছেলেরা সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে। করোনা মহামারির মধ্যে অনেক মানুষ মারা গেছে, অনেকেই চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে- তাদের জন্যই আমরা এই বিশ্বকাপটা খেলতে চাই।’
একাত্তর/এসএ