বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই প্রথম মিশন বাংলাদেশের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আসর শুরু করছে টাইগাররা। শক্তি, সামর্থ্যে দুদলের পার্থক্যের ফারাকটা বড় হলেও সতর্ক থাকতে চান ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বলছেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী দল। ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ কিংবা ১৭-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি…দুর্বিনীত বাংলাদেশের মহানায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ২১ তার কাছে ভিন্ন কিছু। মহানায়ক যে এবার অধিনায়কের ভূমিকায়। পিঠের চোট কাটিয়ে নেতার অনুশীলনে প্রত্যাবর্তন মূল লড়াই শুরুর আগে বাংলাদেশকে করবে আত্মবিশ্বাসী-অদম্য।
রিয়াদ দলের এক্স ফ্যাক্টর…আনসাং হিরো। দেশের একমাত্র শতাধিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার অধিনায়ক নিজে। ঘরে বাইরে টানা তিন সিরিজ জয়ে দিয়েছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব। অন্যরা যখন রান খরায়, শেষ আট ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ৩৮ এর ওপরে।
অধিনায়ক প্র্যাকটিস ম্যাচ না খেললেও ফরম্যাটটায় দলের অভিজ্ঞতম সদস্য। তাই স্কটল্যান্ড ম্যাচের আগে আছে যেমন সতর্কতা, তেমনি আছে আত্ম্ববিশ্বাসটাও।
আরও পড়ুন: স্কটল্যান্ডকে দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশকাপ মিশন
আবুধাবিতে থেকে ফিরে মাত্র একদিন অনুশীলন করেই ম্যাচে নেমে পড়া। এ এক অন্য বাংলাদেশ। প্র্যাকটিসে সাকিব-মোস্তাফিজদের উপস্থিতি একটা ভিন্ন আবহ তৈরি করে…আস্থা বাড়ায়, মনোবলে শক্তি দেয়। অথবা…প্র্যাকটিসে সাকিব না থাকলেও দলের সাথে তার যোগ দেয়া বাংলার ভাবনার ভার কমিয়েছে অনেকখানি।
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই রিয়াদদের। তবে নিজেদের সামর্থ্য তো আর অজানা নয়। শীর্ষ ক্রিকেটারদের ব্যাটে রান খরার চিন্তা দূরে ঠেলে স্বপ্নের মিশনের শুরুটা ভালোভাবে করতে চায় টিম টাইগার্স।
প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের হার উস্কে দিচ্ছে নানা আলোচনা। রিয়াদ-সাকিবরা যার উত্তর দেবেন বাক্যে নয়, ব্যাটে-বলে।
২০১৫ বিশ্বকাপে হায় হায় রব উঠেছিল…প্র্যাকটিস ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিল মাশরাফীর দল তাই। এরপরের ইতিহাসটা সবার জানা…সেই ইতিহাস পুনরাবৃত্তির মিশনটা শুরু হোক টিম টাইগার্সের স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে।
একাত্তর/এসজে
