যেটা ছিলো তার শক্তির জায়গা, সেটাই এখন বড় দুর্বলতা। প্রিয় স্কুপ শটের
টাইমিংটা হচ্ছে না, তারপরেও ওটা খেলেই নিয়মিত আউট হচ্ছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর
রহিম।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেটে সেট হবার পর, আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেছেন। সেই ম্যাচ আর জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
টাইট ফিল্ডিং দিচ্ছে প্রতিপক্ষ, একটা স্কুপ শট খেলো, ফাইন লেগ, লং স্টপ কিংবা থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে বল করতে পারো সীমানাছাড়া। আর তার জন্য স্কুপ শট হতে পারে সেরা পছন্দ।
এই শটের ক্ষেত্রে বলকে নিজের দিকে নয়, বরং বডিলি ব্যাটারকে যেতে হবে বলের লাইনে, যত বেশি সময় সম্ভব, হেড পজিশন রাখতে হবে বলের লাইনে। টাইমিংটা হতে হবে নিখুঁত।
বলে পর্যাপ্ত পেইস আর সেটা ব্যাটের সুইট পার্টে লাগাতে পারলে এই শট থেকে ছক্কাও আদায় করে নেয়া সম্ভব। তখন স্কুপ শট হয়ে যায় সুপার স্কুপ।
এই স্কুপ শটটা মুশফিকের খুব প্রিয়, ওয়ার্ল্ড কাপের মতো বড় মঞ্চেও স্কুপ শটে বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন তিনি।
কিন্তু যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। ঝুঁকিপূর্ণ এই শট খেলতে গিয়ে এখন লেজেগোবরে করে ফেলছেন নিয়মিত।
ওমান-এ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও এই শট খেলতে গিয়েই প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন। একইভাবে আউট হলেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে।
৩৮ রান করার পর যখন উইকেটে অনেকটা থিতু, ঠিক তখন আউট হলেন মুশফিক। সাকিব ফেরেন তার আগেই। মুশফিকের বিদায়ে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি টাইগাররা।
আরও পড়ুন: টাইগারদের ব্যর্থতা নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া
এমনিতে টি-টোয়েন্টি মুশফিকের সময়টাও ভালো যাচ্ছে না, অন্য দুই ফরমেটের তুলনায় মুশির বিশ ওভার ক্রিকেটের গড়টাও বড্ড সাদামাটা।
তারওপর ম্যাচের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিলাসবহুল শট খেলার প্রবণতা আর সেখান থেকে ব্যর্থতা মুশিকে করছে আরো সমালোচিত।
সামনে পাপুয়া নিউগিনি আর স্বাগতিক ওমান পরীক্ষা নেবে টাইগারদের। মিডল অর্ডারে মুশফিক তার কাজটা ঠিকঠাক করতে পারবেন তো, সেই প্রশ্নই উঠছে বারবার।
একাত্তর/আরবিএস