ফন্ত ও ফ্রেইসাকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয়বার সভাপতির দায়িত্ব পান লাপোর্তা। টানা ১২ ঘণ্টা ভোটের পর ফল মিলেছে। ৫০.৪২ শতাংশ ভোটার বেছে নিয়ে নিয়েছে লাপোর্তাকে।
যেই মেসির বিদায়ের ঘোষণায় বার্সার আকাশে নেমেছিল দুর্যোগের ঘনঘটা, ছেলেকে সাথে করে সেই প্রাণপাখিই এসেছিলেন ভোট দিতে।
মেসিকে ভোটের বাক্সের কাছে দেখেই লাপোর্তা ইঙ্গিতে বলে দিয়েছেন এলএমটেন বার্সাতে আছেন, থাকবেনও। তিনি ন্যুক্যাম্পের আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠা আপন সন্তানকে নিজের ঘরেই রাখবেন। লাপোর্তা নির্বাচনী প্রচারের প্রধান এজেন্ডাও ছিল, বার্সার সোনার খাঁচায় প্লাটিনামের ডিম দেয়া মেসিকে সযত্নে পুষে রাখা।
ভোটের সময় নেয়া এক টিভি জরিপেও দেখা গেছে ৬৫ শতাংশ বার্সেলোনা সদস্য চাইছেন মেসিই থাকুক দলের নেতৃত্বে। আর ৩০ শতাংশ বলছে, মেসি এখন আর বার্সার জন্য অতোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বিকল্প ভাবনার এখনই সময়।
বার্তোমেউয়ের বিদায়ের পর গত ২৪ জানুয়ারি নির্বাচন হবার কথা ছিল। তবে করোনার থাবায় পাল্টে যায় নির্বাচনের দিনক্ষণ।
করোনা মহামারীর কারণে বড় ক্ষতির মুখে আছে বার্সা। মেসি চলে গেলে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে; তাই গর্তে পড়ে যাওয়া বার্সাকে টেনে তোলাই লাপোর্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।