গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা যদি হয় ক্রিকেট, তবে অনিশ্চয়তার সবটুকু সৌন্দর্যের পসরা সাজে সাদা পোশাকের টেস্ট ক্রিকেটে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলার নয়। যেই মনে হচ্ছে একটি দল বাজিমাৎ করবে, মুহূর্তেই অপর দলটি পাল্টে দেয় পাশার দান।
তবে আধুনিক ধূমধাড়াক্কা টি-টোয়েন্টির জমানায় পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেট অনেকের কাছে বড্ড ক্লিশে হয়ে যায়। ফলে আধমরা সাদা পোশাকের ক্রিকেটটাকে সজীব করতেই বছর দুয়েক আগে শুরু হয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যাত্রা।
টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে নয়া আয়োজন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড-ভারত।
৯ টেস্ট খেলুড়ে দলের দুই বছরের প্রতিযোগিতায় পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দুই উঠেছে ফাইনালে। যেখানে সদ্যই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৭২.২ শতাংশ হারে টেবিল টপার হয়েছে কোহলির দল।
এ উপমহাদেশে ‘ঘরের মাঠের বাঘ, পরের মাঠেই বিড়াল’ বনে যাওয়ার বদনাম একমাত্র ভারতীয়রাই সাদা পোশাকের মর্যাদাটা অক্ষুণ্ণ রেখেছে। বিরাট-রোহিতদের হাতে টিম ইন্ডিয়া যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার প্রমাণ দেখা যায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পথচলায়।
তিন হোম আর তিন অ্যাওয়ে সিরিজের ১৭ ম্যাচের ১২টিতে জয় পেয়েছে মেড ইন ব্লু। যার মধ্যে ওয়েস্টইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে তাদেরই মাঠে।
পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ফাইনালের প্রথম টিকেটটা পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ব্ল্যাক ক্যাপরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৬ সিরিজের চারটিতেই জয় পেয়েছে। যেখানে শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ব্যর্থ হলেও ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের সঙ্গে হারিয়েছে ফাইনালিস্ট টিম ইন্ডিয়াকেও।
ক্রিকেটের মক্কা এই লর্ডসেই জুনের ১৮ তারিখ থেকে মাঠে গড়াবে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের এই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অনিশ্চয়তা ছায়া ভর করছে এশিয়া কাপকে ঘিরে। প্রায় একই সময়ে দুই আসর পরায় ভারত খেলতে পারবে না এশিয়া কাপ। আর ভারতকে ছাড়া এই আসর আয়োজনের আগ্রহ নেই এসিসি’র। ফলে অপেক্ষা নতুন সিদ্ধান্তের।