কোহিনুর কণা
আধুনিক দুনিয়ার সবক্ষেত্রেই পুরুষের সাথে তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে নারীরা। রাজনীতির মাঠ থেকে খেলার মাঠ লড়ছে সেয়ানে সেয়ান। আর সেই যাত্রায় ক্রীড়া সাংবাদিকতা যোগ করেছে অন্যমাত্রা। একসময় যেখানে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে সফলতার গল্প লিখছে নারীরা।
একবিংশ শতাব্দী এসে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নাই এক চুলও । একেকটা দিন নতুন সংগ্রাম আর জয়ী হয়ে নতুন পথ সৃষ্টি করা । পথ প্রদর্শক এরিন এনড্রোস থেকে শুরু করে হালের মরিসাল গঞ্জালেজ, সামান্থা পোন্ডাররা একেকজন যেনো রূপে গুণে একেবারে অনন্য। তবে ক্রীড়া সাংবাদিকতায় নারীদের শুরুটা এতটাও মসৃণ ছিলোনা । ১৯৪০ সালের গোঁড়ার দিকে টেলিভিশনে শুরু হয় স্পোর্টস প্রোগ্রাম যাতে একছত্র আধিপত্য পুরুষদের। এ পাড়ায় নারীদের পা মাড়ানো যেনো একেবারে বারণ।
নারী অ্যাথলিট হতে পারলে, তারা খেলা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারবেনা কেনো? সেই আত্মবিশ্বাস থেকে প্রায় ৩০ বছর পর ভাঙলো কৃত্রিম বিধিনিষেধ । স্পোর্টস কাস্টার হিসেবে অভিষেক হলো অ্যামেরিকান জিনি মরিসের । প্রথম নারী হিসেবে লাইভ রিপোর্টিং করেন সুপার বোলে ।
এরপর ডাক পান সিবিএস নিউজের স্পোর্টস বিটে। তবে সেখানেও পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। পুরুষ আর নারীর সুযোগ সুবিধায় যে ছিলো বিস্তর ফারাক। আপন দ্যুতিতে সব অন্ধকার দূর করেছিলেন জিনি মরিস । ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে একাধারে রিপোর্টার, প্রোডিউসার, সংবাদ উপস্থাপক এবং কলামিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন এই পাইওনিয়ার ।
বাধা ধরা নিয়মগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জিনি মরিসরা পথ দেখিয়ে চলেছে যুগে যুগে । এমনি করে ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের এই যাত্রাপথ আরো সুগম হোক । বিশ্বের প্রতিটা কোনে, প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাক আপন শক্তিতে।