ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর বাংলাদেশ এবার ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও শুরু করলো হার দিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বেঁধে দেয়া ২১১ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। ফলাফল ৬৬ রানের বড় হার।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। রোববার (২৮ মার্চ) হ্যামিল্টনে ম্যাচটি শুরু হয় সকাল ৭টায়। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত কতোটা সঠিক ছিল তা প্রমাণ হয় বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় তৈরির মাধ্যমে।
নিউজিল্যান্ডের রানের পাহাড়ে চড়তে শুরুটা ইতিবাচক ছিল বাংলাদেশের। এ সফরে প্রথম সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখ প্রথম থেকেই হাত খুলে খেলছিলেন। ১৮ বলে ২৭ রান করে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর দলের ভরসা লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ আর মোহাম্মদ মিঠুন—চারজনই ফিরেছেন দলকে হতাশায় ডুবিয়ে।
২১১ রান তাড়া করতে নেমে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর যখন আর আশার কিছুই ছিল না তখন আফিফ হোসেন প্রমাণ করেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের অনেক কিছুই করার ছিল। ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। ৫ বাউন্ডারি আর এক ছক্কার ইনিংসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সাথে নিয়ে ৫৬ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে মুখ রক্ষা করেন বাংলাদেশের। এই জুটি ছাড়া বাংলাদেশের ইনিংসে বলার মতো আর কিছু ছিল না। সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ৩৪ করেন ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়।
কিউই বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট পান সোধি। ফার্গুসন ২ উইকেট নেন। এছাড়া টিম সাউদি ও হামিশ বেনেট একটি করে উইকেট দখল করেন।
এর আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ডেভন কনওয়েরের অপরাজিত ৯২ ও উইল ইয়ংয়ের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।
বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিল টাইগাররা। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত স্পিনার নাসুম আহমেদ। ওভারের ষষ্ঠ বলে ওপেনার ফিন অ্যালেনকে বোল্ড করেন তিনি। আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিলকেও আউট করেন এই বাঁহাতি। ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ করা ইয়ং মেহেদি হাসানের বলে আউট হন।
এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলো বাংলাদেশের নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের।