টেস্ট সিরিজ শেষে ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে খেলতে নামছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ জয়ে উজ্জীবিত অসিরা ওয়ানডেতেও জ্বলে উঠতে চায়। অন্যদিকে টেস্ট সিরিজ হারের ক্ষত ওয়ানডের সাফল্য দিয়ে মুছে দিতে মুখিয়ে আছে পাকিস্তান।
তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) লাহোরে বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া।
১৯৯৮ সালে সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ঐ সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল অসিরা। টেস্ট ১-০ ব্যবধানে ও ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এরপর নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফর করেনি অসিরা।
অবশেষে ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে এসে ইতোমধ্যে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই টেস্ট ড্র’র পর শেষ টেস্ট ১১৫ রানের ব্যবধানে জিতে প্যাট কামিন্সের দল।
এবার ওয়ানডে পরীক্ষা অস্ট্রেলিয়ার। তবে ওয়ানডেতে দলের সেরা ক্রিকেটারদের পাচ্ছে না অসিরা। বিশ্রাম দেয়া হয়েছে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও ডেভিড ওয়ার্নারকে।
গেল সপ্তাহে বিয়ের কারণে পাকিস্তান সিরিজ থেকে আগেই নিজেকে সরিয়ে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আর টেস্ট সিরিজে কনুইয়ের পুরনো ইনজুরিতে পড়ে সিমিত ওভারের সিরজ থেকে নিজকে সরিয়ে নিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ।
তাই তারুণ্য নির্ভর এক দল নিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। দু’টি করে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে শন অ্যাবট এবং বেন ম্যাকডারমটের। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে আবারও ওয়ানডে দলে সুযোগ হয়েছে ক্যামেরন গ্রিনের।
আরও পড়ুন: মালিঙ্গার রেকর্ড স্পর্শ ব্রাভোর
২০২০ সালে প্রথম ও শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি। অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন বেন দারউইশ, নাথান এলিস, জশ ইংলিস এবং মিচেল সুইপসন। ২০১৮ সাল থেকে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছেন না ট্রাভিস হেড।
তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে খেলাটা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার এডাম জাম্পা।
একাত্তর/আরএ