পরপর দুটো বিশ্বকাপ নিয়ে মহাব্যস্ততা চলছে আর্চারি ফেডারেশনে। মে মাসে বিশ্বকাপ যাত্রা সুইজারল্যান্ডের লুজানে। আর জুনে দল যাবে ফ্রান্সের প্যারিসে।
প্রথম আসরটি টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতি হলেও, পরের আসরে সেমিফাইনালে উঠতে পারলে মিলতে পারে অলিম্পিকের আরো দুই ইভেন্টে খেলার সুযোগ।
সুইজারল্যান্ডের লুজান শহরের রয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান কার্যালয়। তার পাশেই রয়েছে ওয়ার্ল্ড আর্চারি সেন্টার।
আগামী মাসের ১৬ থেকে ২২ তারিখ সেখানেই বসতে যাচ্ছে আর্চারি বিশ্বকাপ। যেখানে অংশ নেবেন বাংলাদেশের আর্চাররাও।
আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন চপল জানান, বাংলাদেশ গেমসের পরপরই বিশ্বকাপ ফর্মে আছেন আর্চাররা। তিনি আশাবাদি, লুজানে ভালো করবে দল। প্রস্তুতি এবং মানসিকতায় কোন ঘাটতি নেই।
সুইজারল্যান্ড থেকে ফিরেই বাংলার আর্চাররা ধরবেন প্যারিসের ফ্লাইট। সিটি অব লাভে জুনের মাঝামাঝি বসবে আর্চারির আরেকটা বিশ্বকাপ। সেখানে যাবার কথা ছেলে ও মেয়েদের রিকার্ভ ইভেন্টের দুটো টিম।
পরপর দুই মাসে দুটো ইউরোপ সফর। দম ফেলার সুযোগ নেই আর্চারি ফেডারেশন কর্তাদের। লুজানের থেকে বেশি নজর প্যারিসে। কারণ সেখানের সেমিফাইনালে উঠতে পারলে মিলবে টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ।
২০১৯ সালের জুনে এই ইউরোপেই আর্চরির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছিলেন রোমান সানা। ধরেছিলেন অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ। দুই বছর বাদে আবারো সেই জুন। আবারো সেই ইউরোপিয়ান ভেন্যু। রোমানের মতো সাফল্য কুড়িয়ে আনার স্বপ্ন দেখছে রিকার্ভের ছেলে-মেয়েরাও।