প্রথমবারের টি-টোয়েন্টি ২০২২ বিশ্বকাপের আসর বসছে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২০ সালে এ বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা থাকলেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আসরটি পিছিয়ে তা এ বছর বসছে অস্ট্রেলিয়ায়। রোববার (১৬ অক্টোবর) শ্রীলংকা-নামিবিয়ার মধ্যকার প্রথম ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের আসর।
এদিকে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পূর্বের সিদ্বান্ত অনুসারে ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু করোনার কারণে ২০২০ সালের আসরটি না হওয়ায় আইসিসি সিদ্বান্ত নেয় এক বছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। আর ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া।
যদিও গেল বছর ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন হয়নি। করোনার প্রকোপে ভারত থেকে সরিয়ে তা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়। তবে আসরটির আয়োজক ছিলো ভারতই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে জানিয়েছে, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বমোট ৪৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৪২টি ম্যাচ হবে প্রথম রাউন্ড ও সুপার টুয়েলভে। বাকি তিনটি ম্যাচের মধ্যে দু’টি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল রয়েছে।
প্রথম রাউন্ডের মোট ১২টি ম্যাচ হবে। এরপর ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সুপার টুয়েলভ। সুপার টুয়েলভে থাকছে ৩০টি ম্যাচ। ৯ ও ১০ নভেম্বর হবে দু’টি সেমিফাইনাল। সেমিফাইনাল হবে অ্যাডিলেড ওভাল ও সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ১৩ নভেম্বর ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের। ফাইনাল হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
সুপার টুয়েলভে খেলা দলগুলো হলো- স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডকে এবার প্রথম রাউন্ডে খেলতে হচ্ছে।
সাথে বাছাই পর্ব থেকে সেরা দুই দল করে মোট চারটি দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। তারা হলো- আয়ারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি
অস্ট্রেলিয়ায় মোট সাতটি ভেন্যুতে মাঠে নামবে দলগুলো। এগুলো হলো, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, অ্যাডিলেড ওভাল, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্রিজবেনের গাব্বা, জিলংয়ের কারদিনিয়া পার্ক, হোবার্টের বেলেরিভ ওভাল ও পার্থ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্বকাপের আসর।
আইসিসি বলছে, চ্যাম্পিয়ন দল দল পাবে ১৬ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা। রানার্স-আপ দল পাবে চ্যাম্পিয়নের চেয়ে অর্ধেক, অর্থাৎ ৮ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি টাকা।
একাত্তর/আরবিএস