ইউরোতে ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচ চলার সময় যখন এরিকসেন আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন, তখন তাঁর সব থেকে কাছাকাছি ছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ সিমোন কিয়ের।
আর, তার উপস্থিতি বুদ্ধি আর চেষ্টাতেই এরিকসেন প্রাণে বেঁচে গেছেন। আর এমন কথাই ঘুরছে ইউরোপের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। তাদের কাছে কিয়ের এখন ‘মহানায়ক’।
৪২ মিনিটের মাথায় হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইন্টার মিলানে খেলা ২৯ বছর বয়সী ড্যানিশ তারকা এরিকসেন। এ সময় তার সবচেয়ে কাছাকাছি ছিলেন কিয়ের।
যিনি শুধু ডেনমার্কের অধিনায়কই নয়, ইতালির সিরি আ’তে ইন্টারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল এসি মিলানের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়।
কিন্তু ক্লাব আর জাতীয় দল তো এক নয়। জাতীয় দলে একে অপরের একান্তই সুহৃদ। এরিকসেন লুটিয়ে পড়তেই কিয়ের ছুটে যান তার কাছে। তার পেছনে রেফারি ও অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: এরিকসেন ভালো আছেন, কিছুদিন হাসপাতালে থাকবেন
পরিস্থিতি দেখে একটুও ঘাবড়ালেন না তিনি। এরিকসেনের অবস্থা দেখে ঘাবড়ে না গিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখেন কিয়ের। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন সেই মুহূর্তে তার করণীয় নিয়ে।
হৃদযন্ত্র সাময়িক বন্ধের সময় যাতে কোনভাবে এরিকসেনের জিভ মুখের ভিতর ঢুকে না যায়, সেদিকেই নজর দিলেন তিনি। কারণ এমন ঘটলে আর বাঁচানো যাবে না সতীর্থকে।
তাই, চিকিৎসক দল মাঠে পৌঁছানোর আগে সেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েক সেকেন্ড দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন কিয়ের। মুখে মুখ রেখে ক্রমাগত এয়ার সাকশান করে গেলেন।
এরপরের ঘটনা সবার জানা। চিকিৎসক এসে বাকি কাজটা সারেন। ক্রমাগত সিপিআর দিতে থাকেন। এক সময় চোখ মেলে তাকান এরিকসন।
জ্ঞান ফিরে পাওয়া এরিকসেনকে তোলা হয় স্ট্রেচারে। মাঠ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সোজা নেয়া হয় কোপেনহেগেনের হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, গেল বছর টটেনহ্যাম হটস্পার ছেড়ে ইন্টার মিলানে চলে যান এরিকসেন। টটেনহ্যামের হয়ে তিনি ২২৬টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৫১টি।
একাত্তর/এআর