অলিম্পিকের মঞ্চে তেত্রিশ বছর ধরেই আসছেন জর্জিয়ান শুটার নিনো সালুকভাৎসে। সিউল থেকে টোকিও তার আসা যাওয়া চলছে। ৫২ বছর বয়সেও অলিম্পিকে লড়ে যাওয়া নিনো এখন অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ। বটবৃক্ষ হয়ে অলিম্পিক আগলে রাখা নিনোর বাকিটা জানাচ্ছেন নাজমুল রানা।
তেত্রিশ বছর কেটে গেলো, কেউ কথা রাখলো আর না রাখলো তাতে কিছু যায় আসে না, অলিম্পিকের মহাসড়কে একজন কথা রেখেছেন। ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২০--এই দীর্ঘ সময় তিনি নিয়মিতই আসছেন এই বিশ্বমঞ্চে।
জর্জিয়ান শুটার নিনো সালুকভাৎসে অলিম্পিকে প্রথম পা রেখেছিলেন ১৯৮৮ সালে। এরপর একে একে নয়টা অলিম্পিক কেটে গেছে। এসেছে গেছে কতো মুখ, ভেঙেছে কতো রেকর্ড, হয়েছে কতো সামাজ্র্যের উত্থানপতন।
রঙীন এই আসরে জৌলুস হারানো আর ফিরে পাওয়া অনেক গল্পের সাক্ষী নিনো। বটগাছের মতোই তার অলিম্পিকে বিচরণ, এই জগতে আসা যাওয়া করা অনেকের কাছেই তিনি পরিচিত নাম।
আরও পড়ুন: জহির রায়হানের সাথে অলিম্পিক থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ
বয়স ৫২ বছর, কিছুটা ক্লান্তির এসে গেছে; বলিরেখায় খেলে যাচ্ছে চামড়ার ভাঁজ; খুব করে চেয়েছিলেন এবারের অলিম্পিকে আর প্রতিযোগিতা করবেন না। তবে পুত্রের জোরাজুরি আর চোখে লেগে থাকা বিশ্ব আসরে নেশা এবারও তাকে হাজির করেছে টোকিওতে।
নয় অলিম্পিকে পা রাখলেও প্রথমবারই ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা। সেবারই ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে জিতেছিলেন রৌপ্য, আর স্বর্ণ পেয়েছিলেন ২৫ মিটারে। সিউলের পর আর তেমন বড় কোনো সাফল্য আসেনি নিনোর।
নিশানা বাজিতে আরেকবার মাত্র তাক লাগাতে পেরেছিলেন নিনো, সেটা ২০০৮ সালে। ১০মিটার এয়ার পিস্তলে পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জের দেখা। টোকিওতে নিনোর ম্যাজিক দেখিয়ে মিরাকল ঘটানো হলো না, নিজের প্রিয় দুই ইভেন্ট থেকেই বাদ পড়েছনে শুরুতেই।
টিকে যাওয়া আর বাদ পড়ায় আসলে নিনোদের কিছু যায় আসে না। তারা ভালো করেই জানে, জয় পরাজয় সাময়িক, জীবন যুদ্ধে কিংবা খেলার মাঠে লড়ে যাওয়াটা জরুরি। যদিও রেকর্ড গড়তে হলে, নিনো আরও দুইবার অলিম্পিকে আসতে হবে, কারণ টানা ১০ অলিম্পিকে অংশ নেয়ারও রেকর্ড আছে।
একাত্তর/এসজে