শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। হাতে আছে তিন ম্যাচ, জিততে হবে একটা, তাতেই নিশ্চিত হবে সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার কোনো দ্বি-পাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েই সেটা জিতে নেয়া এখন বাংলাদেশের হাতে নাগালে।
করোনাকাল সারা দুনিয়াকে পরিচিত করিয়েছে ফাঁকা মাঠের সাথে। বেঁচে থাকার গল্প লেখাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে খেলাধুলা তো বিলাসিতা। তাই মহামারিটা যখন মহা আকার ধারণ করলো, তখন দুনিয়াজুড়ে একের পর এক স্থগিত হয়েছে স্পোর্টস ইভেন্ট।
কিন্তু পেটের দায়ে সেই খেলা মাঠে ফিরেছে আবার। স্পোর্টস ইকনমিকে বাঁচাতে গ্যালারিতে ফিরতে শুরু করেছে দরর্শকও।
বাকিদের মতো খেলার মাঠে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু করোনা পরবর্তী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেই পুরনো ফর্ম এখনো ফেরেনি। বিষয়টা অবাক করতে পারে, তবে এটাই সত্যি যে, মহামারি শুরুর পর আর কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি অজিরা।
বিশ ওভার ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়া এই সময়ের মধ্যে মোট সিরিজ খেলেছে চারটি, যার সবকটায় হার। তার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ পরাজয় তো ছিল ঘরের মাঠেই।
সব মিলিয়ে এই সময়ের মধ্যে ১৬টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ক্রিকেট অস্ট্রলিয়া, যার মধ্যে জিততে পেরেছে মোটে পাঁচটাতে।
বাংলাদেশের বিমানে চড়ার আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে এসেছে অজিরা। ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে এই ফরম্যাটে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে মাইটি অজিস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভরাডুবির পর বাংলাদেশেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলের আট ক্রিকেটারকে ছাড়াই টাইগারদের মোকাবেলা করতে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা।
স্পিনিং উইকেটে আফিফ সাকিবদের কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না হ্যাজলউড-মিচেল স্টার্কে সাজানো পেস ইউনিট, স্পিনারদের টুকটাক সাফল্য জেতাতে পারছে না ম্যাচ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই তাই হেরে বসে আছে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের দল।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার যখন এই হাল, তখন সামনের ম্যাচে টাইগাররাই পরিস্কার ফেভারিট। উইকেট আর কন্ডিশন পক্ষে। অনভিজ্ঞ অজি ব্যাটিংলাইন পাচ্ছে না কূল-কিনারা।
তার মানে রিয়াদ বাহিনীর জন্য মঞ্চ প্রস্তুত, সিরিজ জয়টা হাতের নাগালে, পরের ম্যাচেই সেটা হলে নিশ্চয়ই আরো বড় স্বপ্ন দেখতে পারবে টাইগার সমর্থকরা।