এক ঘোষণায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো। কেড়ে নিল চোখের ঘুম। মৃত্যু যন্ত্রণার মতো বেদনার শেল বিঁধলো বুকে। এই ক্যাম্প ন্যু, এই শহর বার্সেলোনা তো এতোদিন বেঁচেছিল মেসি নামক সৌরজগত চোখে নিয়েই।
শেষ রক্ষা হলো না, অবশেষে বার্সেলোনা ছাড়তেই হচ্ছে লিওনেল মেসিকে। কাতালান জায়ান্ট জানিয়েছে, ইচ্ছে থাকলেও অর্থ সংকট আর লা লিগা কর্তৃপক্ষের কঠিন নিয়মের কারণে তারা মেসিকে রাখতে পারছে না। এতে অবশ্য অনেকে বার্সার সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আলোকে আলোকবর্ষ দূরে রেখে, পিছনে ফেলে মহাকাল, থমকে দিয়ে সময়েরর রথ, মেসি ধরবেন কোন পথ; সেই প্রশ্ন এখন চারপাশে।
সবকিছু ছিল ঠিকঠাক, বেতন অর্ধেক করেও বার্সাতেই থাকতে চেয়েছিলেন সময়ের সেরা তারকা। কথা ছিল সইটাও করে ফেলবেন বৃহস্পতিবার। তবে এলো না সুখের খবর, বৃহস্পতিতেই বার্সার কাঁধে শনি করলো ভর। অর্থের সমীকরণে ওরা হারালো সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুকেই।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির পদ হারাচ্ছেন পরীমনি ও একা?
গেলবারের মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণায় তোলপাড় হয়েছিল। শান্ত নদীর এমন অশান্ত রূপে বার্সার সর্বনাশ দেখেছিলেন অনেকেই। শত্রু বার্তোমেউর বিদায়, বন্ধু লাপোর্তার সভাপতির পদে বসা। মেসির নমনীয় সুর, সবশেষ চুক্তিতে আসা। স্বস্তি এনেছিল শহর বার্সেলোনায়।
তবে সব গল্পের শেষটা যে শান্তি সুখের হয় না, শেষ অঙ্কে সব নাটক পৌঁছায় না মিলনে। মেসির বেলাতেও হয়েছে তাই, সব ভেস্তে গেছে শেষে এসে। মিলন গোধূলি লগনেই চির বিদায়ের বাণী শুনিয়ে গেছে মহাকাল।
কিন্তু কেনো এমন হলো? কোন কারণে ভাঙলো ২১ বছরের সংসার? উত্তরে অনেকেই বার্সা ম্যানেজমেন্টকেই দুষছেন। বলছেন, টাকার খতিয়ান মেলাতেই কাতালান জায়ান্টরা এমন হঠকারী পথে হাঁটছে।
সব আলাপের পর এখন সত্য ওই, সাতশত আটাত্তর ম্যাচ, ৬৭২ গোল আর ৩৫ ট্রফির মায়া ছেড়ে মেসিকেও ধরতে হচ্ছে অন্য পথ। যে পথে আগেই হেঁটেছিল বন্ধু সুয়ারেজ, নেইমার। তাই হয়তো ওলটপালট হচ্ছে বুকের ভেতর, বৃষ্টি নামছে ঝুমঝুমিয়ে।
একাত্তর/আরএইচ