আলোর মাঝে থেকেও যেনো খানিকটা আড়ালে থেকে যাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার ক্যাপ্টেন্সির ধরন নিয়ে সমালোচনা হলেও, সফলতা নিয়ে কথা যেনো হচ্ছে কম।
কিন্তু কেনো রিয়াদকে এমন আড়াল করে রাখা, ওর মুখ কেনো ছায়াতেই ঢাকা? সাইলেন্ট কিলারের নীরব মহাকাব্যিক হিসেব নিকেশ রইল এই প্রতিবেদনে।
দুঃসময়ে হাতিও খাদে পড়ে, আহত বাঘেরও যেনো করার থাকে না কিছু; সাকিবেরও হয়েছিল তাই; ছয় বলে পাঁচ ছক্কা, এমন দিনও আসবে চেনা আঙিনায়; সেকথা মোটেও ছিল না বিশ্বসেরার ভাবনায়?
তবে যে পারে সে করে দেখায়, কাজেই দেয় প্রমাণ। সাকিবও করলেন তাই, চারে চার মিলিয়ে দেয়ার দিনে চার উইকেটে নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। সাথে সিরিজ সেরাও মুকুটটাও তুলেছেন মাথায়।
আরও পড়ুন: মূল দল পাঠাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড! ফল হবে অস্ট্রেলিয়ার মতোই?
সাকিব তলিয়ে গেলেন, ফিরে আসলেন, কেড়ে নিলেন সব আলো। চেনা চিত্রনাট্যে, সেই চেনা দৃশ্যায়নটাই হলো মিরপুরে। কিন্তু সবাই ভুলে গেল সেই একটা মানুষের কথা, বিধ্বস্ত জনপদে দাঁড়িয়েও যে সাকিবে ভরসা রেখেছিল, বারবার তার হাতেই তুলে দিয়েছিল বল।
সব সময় আড়ালে লুকানো সেই পদ্মের নাম মাহমুদুল্লাহ, যার ওপরেই সাপের ছোবল চলে। কিছু একটা ঘটলেই কাটাছেড়া হয়, তাকে চেপে ধরে সবাই; দাঁড় করায় কাঠগড়ায়। অথচ ভালো করার ক্ষণে কোনো আলোই যেনো পড়ে তার মুখে, তাকে নিয়ে খুব একটা কথা হয় না কোথাও।
মিরপুরে দুর্বোধ্য পিচ অভিমানী প্রেমিক-প্রেমিকার মতো বেঁকে বসেছে যখন তখন, করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো পাগলা আচরণ। পুঁজিও তাই ছিল কম, কম ধনে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে রিয়াদ বোলার সিলেকশানে ছিলেন দারুণ চতুর। মাহেদী থেকে মোস্তাফিজ, সবাইকে কাজে লাগিয়েছেন ঠিকঠাক।
আরও পড়ুন: বাংলার রেকর্ড ছড়াছড়ির জয়, অজিদের কলঙ্কের নয়া অধ্যায়
ব্যাটের স্বপ্ন পুঁজিতে বলে এতোটা আগ্রাসন দেখানো সত্যিই বিরল বাংলার ক্রিকেটে, পিচ আর অনুকূল কন্ডিশান হলেই কী আর ম্যাচ জেতা যায়? মোটেও না। ক্রিকেট হলো মাইন্ড গেম, যার আশিভাগই ঘটে মাথায় মাথায়।
জিম্বাবুয়ে সিরিজেও যেমন জহুরির খেল দেখিয়েছেন রিয়াদ, বোলিংয়ে তার হাতে যতো অপশন ছিল তার পুরোটাই কাজে লাগিয়েছেন, ভেরিয়েশনে ছিল ভেল্কি। তিন ম্যাচে একুশ বোলার কেন, তখনও ছুটেছে সেই প্রশ্নের উল্কি।
প্রশ্নের বাণ আসবে, নিন্দায় চারপাশ ভাসবে। তবুও সাইলেন্ট কিলারে তরবারিতে সব পড়ুক কাটা। সামনেই আসছে ব্ল্যাক ক্যাপেরা, কাটতে হবে যে ওদেরও মাথা।
একাত্তর/এসজে