আরব সাগরে সুনামির আঘাত। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অভিষেক শর্মা খেললেন ৫৪ বলে ১৩৫ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। ইংলিশদের বিপক্ষে ভারত তুলে নিলো নিজের গড়া জয়। ২৪ বছর বয়সী অভিষেক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৭ বলে। ভারতের হয়ে যা দ্বিতীয় দ্রুততম।
দুইটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটা তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ভারতের রোহিত শর্মা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারের রয়েছে ৩৫ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড। আর, সব মিলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহানের। গত বছর সাইপ্রাসের বিপক্ষে ২৭ বলে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি।
অভিষেক শর্মা বরাবরই প্রতিভাবান হিসেবে পরিচিত এবং ভারতের ভবিষ্যৎ তারকা হিসাবে গণ্য হন। প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংকে তিনি তার আদর্শ মানেন। এবং রোববার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই আদর্শের ছায়াতেই যেন ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন অভিষেক শর্মা।
উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ উপযোগী এবং অভিষেক তার পূর্ণ সুযোগ নেন। মাত্র ১৭ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে তিনি ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এরপরে ৩৭ বলে শতরান করেন অভিষেক শর্মা। এই সময়ে পাঁচটি চার ও ১০টি ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা।
ভারতীয় হিসেবে ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড গড়া অভিষেক গড়েছেন ১৩টি ছক্কা মারার রেকর্ড। তার নজির গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে টিম ইন্ডিয়া করে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান।
ভারতের ইনিংসের শুরুতেই সঞ্জু স্যামসন দ্রুত আউট হয়ে যান, তবে অভিষেক এতে বিচলিত না হয়ে আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে কার্যত ধ্বংস করে দেন এবং টিলক ভার্মার সঙ্গে মাত্র ৬ ওভারের মধ্যেই ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড অল আউট হয় ৯৭ রানে। এ সংস্করণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার একশ’র বেশি রানে জিতল ভারত। টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসাবে ইংল্যান্ডের এটিই সবচেয়ে বড় হার। আগের রেকর্ডটাও ভারতের বিপক্ষেই ছিল, ২০১২ বিশ্বকাপে কলম্বোয় ৯০ রানে।