হারলে গালি যতো জোটে, জিতলে তালি ততোটা না। বিদেশের মাটিতে হারলে টাইগাররা খেলা পারে না, আর জিতলে শুনতে হয় প্রতিপক্ষ সবল না। আর ঘরের মাঠে জিতলে তো সেই পুরনো কথা, হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে পাওয়া এই জয়ের কোনো ফায়দা নেই।
এই অভিজ্ঞতা বিদেশে কাজে আসেনা। আসলেই কী ঘরের মাঠের জয়গুলো বৃথা যায়?
বিজয়ীদের মানুষ মনে রাখে পরাজিতদের নয়, বাংলার ক্রিকেটের বেলাতে যেনো এই কথাটা উল্টো হয়ে খাটে। হারলে গালি যতো বেশি জোটে, জিতলে হাততালিটা আসে তার চেয়ে অনেক কম। নিউজিল্যান্ড সফরে বিধ্বস্ত তামিমের দল, রিয়াদ সুবিধা করতে পারলেন না।
আলাপ উঠলো চারদিকে, বললো সবাই, বিদেশের মাটিতে খেলার মতো যোগ্য দলই এখনও বাংলাদেশ হয়ে ওঠেনি। সেই প্রচলতি আলাপ মেনেই, জনরোষ এড়াতে ক্রিকেটাররাও দিয়েছে কন্ডিশনের দোহাই।
নিউজিল্যান্ডের কলঙ্ক ঘরে মাঠে ঘুচলো। ওডিআইতে ক্যারিবীয়রা কুপোকাত হয়েছে, লঙ্কানরাও হেরে ফিরেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভাগ্যে ঠিকঠাক প্রশংসা জোটেনি, সবাই দিয়েছে হোম কন্ডিশনের সুবিধা আর বাজে ইউকেটের দোহাই। অনেকে তো আবার অহরহ বলে ঘরের বাঘ পরের মাঠে বিলাই।
আরও পড়ুন: চটেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
বিদেশের মাটিতে সুবিধা করেছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ে থেকে মুমিনুল, তামিম, রিয়াদ সবাই জয় নিয়ে ফিরেছে, তাতেও অনেকের মন ভরেনি। টাইগারদেরও দোষ কমেনি। অনেকেই বলেছেন ওরা দুর্বল দল, ওদের এভাবে হারানোই যায়। কারো ভাষ্য এই খেলার অভিজ্ঞতা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাজেই লাগবে না!
ঘরে মাটিতেই অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারানোর পরও সেই আলাপ। উইকেটের বাজে হাল, ওরা দ্বিতীয় সারির দল, ওদের বাঘাবাঘা ব্যাটারা আসেনি, সাথে স্পিনাররা সুবিধা পেয়েছে পিচে, আরো কতো কী! কেউ আবার বলছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কী হবে এমন উইকেটে? কোনো কাজে আসবে কী এই জয়?
তাদের জানা জরুরি, সব দেশই উইকেটের সুবিধা নেয়, আর বৃথা যায় না কোনো জয়। এই টানা জয় টাইগারদের উৎসাহ দেবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শক্তি বাড়াবে। আরেকটা কথা জাতীয় দল সেটা জাতীয় দলই, কে নেই কে আছে খুব বেশি লাভও নেই সেই আলাপে।
একাত্তর/এসজে