১৬ বছরের খরা আর কাটানো হলো না ব্রাজিলের। পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাচিয়ে ছাড়লো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাটিতে ব্রাজিলকে হারালো ৪-১ গোলে। এই জয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে কনমেবল অঞ্চলে সবার আগে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করলো স্কালোনির শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে স্তাদিও মনুমেন্টালে কী হলো কে জানে, রাতের আকাশ ছেয়ে গেলো নীল উৎসবে। এনজো ফার্নান্দেজ, ডি পলরা আরো একবার বলে গেলো- এই তল্লাটে দল একটাই নাম তার আর্জেন্টিনা।
‘ওদেরকে আমরা হারাবোই’ খরা কাটিয়ে জয়ের মোমেন্টাম খুঁজে পাওয়ার ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বর রাফিনিয়া বলেছিলেন এমনটাই। তবে ব্রাজিল স্টারের এই কথাকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে জোকারে পরিণত করতে আর্জেন্টিনার লাগলো মোটে চার মিনিট। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ, দাপট দেখালো হোস্টরা।
কোথায় ভিনিসিয়ুস কোথায় রাফিনিয়া, কাউকে তো খুঁজেই পাওয়া গেলো না। ঘরের মাঠে ১৬ বছরের মতোই শুরু থেকেই সেলেসাওদের ওপর চড়াও হয় আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের ভঙ্গুর ডিফেন্স আর অ্যালিসন বেকারের না থাকার ফায়দাটা তুলে নেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। হুলিয়ান আলভারেজের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা।
আট মিনিটের মধ্যেই লিড ডাবল করেন এনজো ফার্নান্দেস। প্রথমার্ধেই এক গোল শোধ করে অবশ্য ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় ব্রাজিল। তবে দোরিভ্যালের ছেলেদের দৌড় ওই পর্যন্তই। ৩-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ জুড়ে আর্জেন্টিনার ৭টি অন টার্গেট শটের বিপরীতে ব্রাজিল শট নেয় মোটে একটা।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ধরে রাখে ডি পলরা। ওদের সামনে খেই হারা সেলেসাওরা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে আলমাদাকে তুলে বদলি নামান সিনিওনেকে। তিন মিনিটের মধ্যেই চোখ ধাঁধানো এক গোল করে তিন গোলের লিড নিয়ে নেয় স্কালোনির শিষ্যরা। শেষমেষ এক হালিতেই শেষ হয় আর্জেন্টিনার ব্রাজিল বধ অভিযান। এই জয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে কনমেবল অঞ্চলে সবার আগে বিশ্বকাপের ট্রেনে উঠে পড়লো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এই নিয়ে ব্রাজিলের জয় খরা বেড়ে হলো পাঁচ ম্যাচ, সময়টা ছয় বছর। আলবিসেলেস্তেদের বিপক্ষে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সবশেষ জিতেছিল সেই ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকায়। আর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার ঘরের মাটিতে ২০০৯ সালের পর আর জিতে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল।