ত্রিরত্ন বলে বাংলায় একটি শব্দ আছে। এই শব্দের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হতে পারে মেসি, নেইমার আর সুয়োরেজ। ফুটবলের তিন সেরাই নয়, এই ত্রিরত্নের মধ্যে বন্ধুত্বের কথা গোটা দুনিয়া জানে। এই লাতিন ত্রয়ী এখন চুটিয়ে মজা করছে বার্সেলোনাতে।
নাহ, বার্সেলোনার মাঠ ন্যূ ক্যাম্পে নয়, তবে তারা সবাই স্পেনের এই শহরেই আছেন। ছুটি কাটাচ্ছেন তিন বন্ধু মিলে। হৈ হুল্লোড় করে সময় কাটাচ্ছেন। অনেক পর ত্রিরত্বের একসাথে দেখা, তাই সময়টি বিশেষই বলতে হবে তাদের জন্য।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন তিন জনের দেখা হতো প্রতিদিন। কারণ, তিন জনই ছিলেন বার্সেলোনার দুর্ধর্ষ আক্রমণভাগের তিন অস্ত্র। ফুটবল বিশ্ব এই ত্রয়ীকে ডাকতো এমএসএন বলে।
কিন্তু, সময়ের পরিক্রমায় তিন বন্ধু চলে গিয়েছিলেন তিন ক্লাবে। সবার আগে বার্সেলোনা ছেড়ে যান ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। দলবদলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে তিনি যোগ দেন পিএসজিতে। এরপর বার্সা ছাড়েন উরুগুয়ের গোল মেশিন লুইস সুয়ারেজ।
অন্যদিকে, ছয়বারের বিশ্বসেরা পুরস্কার জেতা আর্জেন্টাইন মহাতারকা লায়োনেল মেসি ভেবেছিলেন ন্যূ ক্যাম্পেই ইতি টানবেন ক্যারিয়ারের। কিন্তু বিধি বাম। ঋণে জর্জরিত বার্সা তাকে আস দলে রাখতে চাইলো না। ফলশ্রুতিতে ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টানেন মেসি।
পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর মেসি মুখিয়ে ছিলেন আবার কখন বার্সেলোনায় নিজের ডেরায় ফিরবেন। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে অভিষেক পিছিয়ে যেতেই ছুটি মেলে তার। সঙ্গে সঙ্গেই উড়ান দেন বার্সেলোনায়। তার পিছু নেন নেইমারও।
তারা দু’জনে একই সময়ে প্যারিস থেকে বার্সেলোনায় উড়ে আসেন। তবে এক সঙ্গে আসেননি। নিজ নিজ জেট প্লেনে করে বার্সালোনায় পৌছান তারা। সেখান থেকে সোজা চলে যান শহরের অভিজাত ক্যাসেলডিফেল এলাকায় মেসির বাড়িতে।
আরও পড়ুন: বিনা পারিশ্রমিকে পরীমনির পক্ষে লড়বেন একদল আইনজীবী
অন্যদিকে, আগে থেকেই দুই বন্ধু মেসি ও নেইমারের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সুয়ারেজ। তার বাসাতেই রাতের ভোজ এক সঙ্গে করার কথা। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী তেমনই হয়েছে।
সুয়ারেজের বাড়িও ক্যাসেলডিফেলে। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সেখানে যান মেসি ও নেইমার। এক সঙ্গে ডিনার করেন। আর পরের দিন এক সঙ্গে ঘুরে ফিরে মঙ্গলবার প্যারিসে ফিরে আসেন মেসি ও নেইমার।
একাত্তর/এসএ