চীনের গুয়াংঝাউয়ের একটি কোম্পানির হাত ধরে পরীক্ষামূলকভাবে 'উড়ন্ত ট্যাক্সি' উড়লো দুবাইয়ের আকাশে। এর মধ্যদিয়ে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির একটি আভাস দিলো কোম্পানিটি। তারা বলছে, এ প্রযুক্তি মানুষকে আকাশে চলাচলের অবাধ স্বাধীনতা দেবে।
ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এক্সপেং ইঙ্ক নামের একটি চীনা কোম্পানি তৈরি করেছে এই ট্যাক্সি। ২০২১ সাল থেকেই এই ‘ইভিটিওএল’ যানটি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল সংস্থাটি। সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ট্যাক্সিটি প্রথমবারের মতো উড়লো।
নির্মাতা সংস্থাটি জানায়, বিদ্যুৎচালিত এই ট্যাক্সিটিতে মোট আটটি প্রপেলার (পাখা) রয়েছে। এতে দু’জন যাত্রী বসতে পারবেন। ট্যাক্সির সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।
তবে বাণিজ্যিকভাবে কবে নাগাদ এ ট্যাক্সি বাজারে আসবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এর দাম কতো হতে পারে তাও জানায়নি কোম্পানিটি।
কোম্পানিটি আরও দাবি করে, ৫৬০ কিলোগ্রাম ওজন নিয়ে প্রায় ৩৫ মিনিট উড়তে পারে যানটি। বিমান ও হেলিকপ্টারের সঙ্গে ট্যাক্সিটির মূল পার্থক্য হলো, ওঠানামা সময় এটি খুবই অল্প জায়গা ব্যবহার করে। একেবারে খাড়া ভাবে ওঠানামা করতে পারে যানটি। ফলে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া অনেক বেশি সহজ।
এদিকে সংস্থাটির দাবি, ভবিষ্যৎ দুনিয়ায় এ ধরনের যানবাহনের ব্যবহার বাড়বে। রাস্তার যানজট এড়িয়ে যাতায়াত করতে খুবই কাজে আসবে ট্যাক্সিটি। সরাসরি বহুতলের উপরেও পৌঁছে দেওয়া যাবে যাত্রীদের।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ট্যাক্সির ব্যাটারি কতক্ষণ কাজ করবে কিংবা যাত্রা কতটা সুরক্ষিত হবে তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে গেছে।
এ বিষয়ে এক্সপেং ইঙ্ক বলছে, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এসব সমস্যা মিটে যাবে। আরও নিরাপদ হয়ে উঠবে এ বাহন।
একাত্তর/আরবিএস