থানায় কোনো জিডি হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এসময় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন ও মাদকসহ সব অপরাধ দমনে শতভাগ চেষ্টা করতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো প্রতিকূলতা থাকে সেটি মোকাবিলা করে পেশাগত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে। ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে হবে। দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, মামলা তদন্তে অগ্রগতি আরও বাড়াতে হবে। থানায় জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে রেসপন্স করতে হবে এবং সে সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ শুরু করতে হবে। এছাড়া চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। চোরাই মোবাইল ফোন কোথায় বিক্রি করা হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ বলেন, মামলা তদন্ত সঠিকভাবে করতে হবে ও তদন্তে আরও গতিশীলতা আনতে হবে। মামলা তদন্তে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
অপরাধ সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ট্র্যাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, অপরাধ দমনে ট্র্যাফিক পুলিশ থানা পুলিশকে যেকোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। সেক্ষেত্রে থানা পুলিশ ও ট্র্যাফিক পুলিশকে সহায়তার মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবে।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
সভায় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) ফারুক হোসেন গত বছরের ডিসেম্বর মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।