পাহাড়ে অশান্ত পরিস্থিতির কারণে এবারের ঈদ ও নববর্ষে পর্যটক নেই বান্দরবানে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় একই সময়ে আয়োজন হয় ঈদ, নববর্ষ আর পাহাড়িদের সাংগ্রাই উৎসব। তাই সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে এই সময়। কিন্তু এবার তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। যদিও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বুধবার সরেজমিন, বান্দরবান শহরে জোরেশোরেই চলছে ঈদগাহের সাজসজ্জা।এলাকাগুলোতে চলছে সাংগ্রাই উৎসব ও নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতিও। কিন্তু কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের কয়েক দফা হামলা, যৌথবাহিনীর অভিযান এতোসব অস্থিরতার কারণে এখন পর্যটকশূণ্য বান্দরবান। ভাড়ার অভাবে এখনও খালি পড়ে আছে চাঁদের গাড়িগুলো। অথচ অন্য বছর দৃশ্যটা থাকে ভিন্ন।
বান্দরবান মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আ. রশিদ বলেন, কুকি চিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিলেও এসব গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
তিনি বলেন, কুকি চিনসহ কোনো সন্ত্রাসীদের আমার ভয় পাই না। পর্যটক থাকলে আমরা অবশ্যই তাদের সেবা দেবো।
চাঁদের গাড়ির কয়েকজন চালক বলেন, এবছর আমরা খুব কষ্টে আছি। পর্যটক না থাকায় আমাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তারা বলেন, এখানে কখন কী হয় তা বলা যায় না। পাহাড়ে সেনাবাহিনীসহ আইশশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা আছে। পর্যটক পাওয়া যায় গেলে আমরা গাড়ি নিয়ে বের হবো।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বান্দরবানে আসার আহবান জানিয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, এখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বান্দরবানবাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
আর জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জনগণের সব ধরনের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত।
টানা কয়েকবছর করোনা আর কুকি চিনের অশান্তির ধাক্কায় এমনিতেই বিপর্যস্ত বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসা। তাই এবারও পর্যটক না আসলে পথে বসবেন অসংখ্য ব্যবসায়ী।