শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও এক দফা দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিকাল তিনটায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে দোয়েল চত্বর এলাকায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরবর্তীতে তারা দেশব্যাপী অবরোধ পালন করবেন।
সোমবার বিজয় একাত্তর হল ও ভিসি চত্বরের সংঘর্ষের পর বিকেল পাঁচটায় শহীদুল্লাহ হলের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ। এসময় উভয় পক্ষকে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। কয়েকটি ককটেলও বিষ্ফোরিত হয় এসময়।
সোমবার দুপুরের পর ক্যাম্পাসে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বিকেলে তা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও চাঁনখারপুল এলাকায়।
দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়। এ সময় আহত অবস্থায় ওই হল থেকে কয়েকজনকে বের হতে দেয়া যায়। এই খবরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে বিজয় একাত্তর হলের দিকে লাঠি সোঁটা নিয়ে এগিয়ে যায় কোটা আন্দোলনকারীরা। একই সময় কোটা আন্দোলনকারীদের সূর্যসেন হল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।
বেলা তিনটার দিকে রাজু স্মারক ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয় ক্যাম্পাসে। এক পর্যায়ে, ছাত্রলীগও ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। এসময় শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
পরে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় কোটা আন্দোলনকারীরা। এ সময় ভিসি চত্বরে অবস্থান নেয় ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। বিচ্ছিন্নভাবে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। লাঠি পেটায় আহত হন কয়েকজন। এ সময় কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এরপর বিকেলে ঢাকা মেডিকেল ও চাঁনখারপুল এলাকায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দুপুর থেকে চলা এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।