বাংলাদেশে যে হারে সম্পদশালীদের আয় বেড়েছে সে হারে সম্পদ কর বাড়েনি। রাজস্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় সম্পদ করের অংশ এখনো নগণ্য।
এ কারণেই সমাজে কালো টাকা বাড়ছে। তাই সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় সম্পদ কর বাড়াতে গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি।
স্বাধীনতার পর থেকে রাজধানী ঢাকার আয়তন চারপাশে ক্রমাগত বাড়ছে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এগিয়েছে। মানুষ বাড়ার ফলে ফলে জমি ও ফ্ল্যাটের চাহিদা বেড়েছে।
শুধু রাজধানী নয়, সম্পদশালীদের আগ্রহ এখন সারা দেশের স্থায়ী সম্পদ খাতে বিনিয়োগে। তাই এসব সম্পদের দাম বাড়ছে আর মালিকানা চলে যাচ্ছে ধনী ও অতিধনীদের কাছে। কিন্তু সম্পদ কর বাড়ছেনা।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশে আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে প্রায় দুই গুণ বেশি। অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মত দেশেও যেখানে সম্পদ থেকে কর আহরণ হয় মোট করের দশ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে এই হার মাত্র ০.৩৪ শতাংশ।
তিনি মনে করছেন ধনী ও প্রভাবশালীদের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জমির বরাদ্দ বেড়েছে, এগুলোর দামও বেড়েছে, কিন্তু গরীবের জন্য আবাসন বাড়েনি। বড় শহরগুলোতে গরীবের জন্য আবাসন ব্যবস্থা বাড়েনি উল্টো একটা ভুমি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, যার সুবিধাভোগী সরকারের প্রভাবশালীরা।
খোদ রাজস্ব বিভাগের সাবেক প্রধানসহ বক্তারা বলেন, সম্পদের দাম আস্বাভিক বাড়ার ফলে সমাজে কালো টাকা বাড়ছে।
সেমিনারে ভুমিমন্ত্রী বলেন, ভুমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন করতে নতুন আইন হবে, যেখানে শতভাগ অনলাইনে সম্পদ কর গ্রহণ হবে।
তবে, সম্পদ কর একবারেই অনেক না বাড়িয়ে স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রেখে সমন্বয় করার পক্ষে মত দেন ভূমি মন্ত্রী।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.