যেকোন দুর্যোগে মানুষই দাঁড়ায় মানুষের পাশে। এবারো চলমান তাপদাহে দুঃসহ পরিস্থিতিতে তৈরি হচ্ছে মানবকিতার উদাহারণ।
পথ-চলতি মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে রাজধানীর মোড়ে-মোড়ে খাবার ও পানির ব্যবস্থা করেছে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন। আবার, শ্রমজীবী মানুষ ও পথচারীদের জন্য অনেকেই বাসা-বাড়ির সামনে রেখেছেন পানি ও খাবারের ব্যবস্থা।
মধ্যদুপুরে গুলশানের পথে ছুটে চলতে দেখা যাচ্ছে কালো রঙা একটা গাড়ি। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে তৃষ্ণার্ত-শ্রমজীবী মানুষের ভিড়ের কাছে থামছে গাড়িটি। জানালা দিয়ে সবার হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ঠান্ডা পানি বা কোমল পানীয়।
গুলশানের বাসিন্দা রিজিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সিনথিয়া তার বাসার সামনে বসিয়েছেন পানির জার। পথ চলতি মানুষ পাচ্ছেন ঠাণ্ডা পানি। সিনথিয়ার এই উদ্যোগ নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
গুলশানেরই আরেক বাসার সামনে মাটির কলসি রাখা। রিকশাচালক থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষ সেই কলসি থেকে তৃষ্ষা মেটাচ্ছেন। দিনে দুই বেলা করে শরবতও বিতরণ করছেন বাড়ির মালিক।
এই শহরে এখন আর কিনে খাওয়া ছাড়া বিশুদ্ধ পানির কোন উৎস নেই। আধা লিটার পানির দাম বিশ টাকা। যা কেনার সাধ্য অনেকেরই নেই।
ব্যাক্তি উদ্যোগ ছাড়াও রাজধানীর ব্যস্ত পয়েন্টগুলোতে খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে ওয়াসা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন। পানির জার বসিয়ে পথচারীদের তৃষ্ণা নিবারণের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
ছোট ছোট এই উদ্যোগগুলো দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দরকার। তাপদাহের এই সময়ে সামর্থ্যবানরা খাবার পানি, স্যালাইন কিংবা গ্লুকোজ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী।