সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট জালিয়াতির মামলা থেকে ১০ কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহার চেয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে রাজউক চেয়ারম্যান বলেছেন, মামলায় কর্মকর্তাদের নাম দেয়া ঠিক হয়নি।
তিনি দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন না করলে শাস্তির মুখে পড়তেন। তবে রাজউকের এমন পদক্ষেপকে অনুসন্ধান প্রতিহতের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
পূর্বাচল নতুন শহরের কূটনৈতিক এলাকায় ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ২০২২ সালে বরাদ্দ করে রাজউক। বরাদ্দের পর প্লটগুলো নিরাপদ রাখা ও আশপাশের সড়ক নির্মাণেও মনোযোগী হয় সংস্থাটি।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হলে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। অনুসন্ধান শেষে ছয়টি মামলা করেছে সংস্থাটি। শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্য ছাড়াও এসব মামলায় আসামি হয়েছেন রাজউকের ১০ কর্মকর্তা।
সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে রাজউক চেয়ারম্যান তার কর্মকর্তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেয়ার অনুরোধ জানান। চিঠিতে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশের প্রেক্ষিতে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তবে এমন অনুরোধ যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা- টিআইবি মহাপরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
দুদকের অনুসন্ধানে জমি বরাদ্দে বেশ কিছু অনিয়ম উঠে এসেছে। আইন অনুযায়ী, রাজউকের জমি পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই আবেদন করতে হয়। কিন্তু হাসিনা পরিবারের কেউই প্লটের জন্য আবেদন করেননি। দুদক বলছে, অভিযুক্তদের ঢাকায় রাজউকভুক্ত এলাকায় জমি ও বাড়ি আছে।
এমনকি রাজউক থেকে তারা আগেও প্লট নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা পরিবারকে পূর্বাচলে প্লট দেয়া আইনের খেলাপ। তবে, চিঠিতে রাজউক চেয়ারম্যান দাবি করেন, কর্মকর্তারা আইনবিরোধী কোনো কাজ করেননি।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে রাজউক চেয়ারম্যান ক্ষুদে বার্তায় জানান, কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতেই দুদককে চিঠি দেয়া হয়েছে।