কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এক পর্যটককে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে টুরিস্ট পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আড়াই ঘণ্টা রুমে আটকে রাখার পর হাতে-পায়ে ধরে ছাড়া পেলেও দিতে হয়েছে সাদা কাগজে সই, বলছেন সেই পর্যটক।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলে ওই ঘটনার লিখিত বর্ণনা দিয়েছেন ভুক্তভোগী পর্যটক নাজমুল হাসান শাকিল।
নাজমুল জানান, বাইকে চড়ে কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারে সমুদ্র দেখতে গিয়েছিলেন শাকিল। বৃহস্পতিবার ভোরে বাইক চালিয়ে তিনি সুগন্ধা পয়েন্টে যান। এরপর বাইক নিয়ে সোজা নেমে যান সমুদ্রে।
এসময় টুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমজাদ হোসেন শাকিলকে বাইকসহ থামিয়ে দেন। জানতে চান, বাইক নিয়ে কেন সৈকতে নামলেন শাকিল।
জবাবে শাকিল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তিনি সৈকতে বাইক নামা নিষিদ্ধের নিয়ম জানতেন না।
তারপরও টুরিস্ট পুলিশের আমজাদ হোসেন লাঠি হাতে নিয়ে মারধর করতে থাকেন পর্যটক শাকিলকে। এক পর্যায়ে লাঠির আঘাতে পা থেকে রক্ত বের হয় শাকিলের। তারপর তাকে ধরে আমজাদ হোসেন তাদের রিজিয়ন অফিস নিয়ে বসিয়ে রাখেন ও মামলা দেয়ার হুমকি দেন।
শাকিল একাত্তরকে বলেন, ওই পুলিশ সদস্য তাকে ছেড়ে দেন কয়েক ঘণ্টা পর। মানবতার খাতিরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে হুঙ্কার দেন টুরিস্ট পুলিশের অভিযুক্ত কর্মকর্তা। পুরো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন শাকিলের সাথে আসা তার ভাতিজা।
ওইদিনই টুরিস্ট পুলিশ কর্মকর্তার নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন শাকিল।
এ বিষয়ে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। কেউ পর্যটকদের সাথে এমন অসদাচরণ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটকদের ভুলগুলো ভালো আচরণ দিয়ে সমাধান করা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ জুলাই সৈকতে বসে সমুদ্র উপভোগের সময় এক দম্পতিকে হয়রানীর অভিযোগ ওঠে টুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে।
একাত্তর/এসজে