চট্টগ্রামে ‘ডাকাত সন্দেহে’ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি করেছেন। এতে আহত হয়েছেন পাঁচ গ্রামবাসী। তাদের মধ্যে চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে জেলার সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামনি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক। তারা পাশে ইউনিয়ন কাঞ্চনার বাসিন্দা। পুলিশের তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে সালেকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা ও বিভিন্ন ঘটনার পাঁচটি মামলা আছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি স্থানীয় চাঁদাবাজ নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠে। সোমবার নেজাম আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছনখোলা এলাকায় তারাবি নামাজ পড়ে যা। তারা বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম বাহিনীর সদস্যরা এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় এলাকাবাসী নেজাম ও সহযোগী ছালেককে ধরে গণপিটুনি দিলে তারা ঘটনাস্থলে মারা যায়
সাতানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ চার জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নিহত দুই জন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে দাবি করেছেন কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টুয়োন্টিফোর ডট কমকে বলেন, তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনতু বিডিনিউজকে বলেন, একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, অস্ত্রটি থানা থেকে লুট করা। সেটি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি।