ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় জমি লিখে দিতে রাজী না হওয়ায় বৃদ্ধ মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার ছেলে। এর পর থেকে এই মা পালা করে থাকছেন মেয়েদের বাসায়। মেজাজী পুত্রের এমন হেনস্তার বিচার চেয়ে ময়মনসিংহের আদালতে ধরনা দিচ্ছেন ৯০ বছর বয়সী এই মা।
এই ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসীসহ ময়মনসিংহের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গে মাকে মারধর ও বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
জীবনের শেষ সময়ে স্বামীর বসতভিটা থেকে বিতাড়িত হয়ে পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতিদের বিচার চেয়ে আদালতে ধরনা দিতে হবে এমনটা ভাবেননি ৯০ বছরের বিধবা আম্বিয়া খাতুন। অথচ, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বয়সের ভারে নুয়ে যাওয়া আম্বিয়াকে সেটিই করতে হচ্ছে।
২০০৫ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের অপর সদস্যদের বঞ্চিত করে পুরো সম্পত্তি কুক্ষিগত করে রাখে পুত্র আব্দুল মতিন। পরে তার মা আম্বিয়া কাগজ নামে থাকা জমি লিখে দিতে রাজী না হওয়ায় মতিনের স্ত্রী তাদের নিয়ে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
মারধর করার কথা অস্বীকার করলেও মা কোথায় আছেন এমন প্রশ্নে কোন উত্তর দিতে পারেনি পুত্র আব্দুল মতিন। আর, নাতি ফয়সাল বললেন, ফুফুদের প্ররোচনায় এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবনের শেষ বেলায় পুত্রের হাতে মাকে হেনস্তার ঘটনাকে সমাজের অভিশাপ-বলছেন ময়মনসিংহের নাগরিক ও মানবাধিকার নেতারা। মারধর ও বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় আম্বিয়া খাতুন পুত্র আব্দুল মতিন ও আবু বক্কর সিদ্দিক এবং নাতি ফয়সাল হোসেনের নামে ময়মনসিংহের আদালতে মামলা করেছেন। এর আগে ফুলবাড়িয়া থানাতেও অভিযোগ করেছিলেন আম্বিয়া খাতুন।