মিলিটারী ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩ ও ৪, অ্যাডমিন টাওয়ার এবং হল অব ফেম-এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ভবনগুলোর উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে এমআইএসটির প্রাক্তন কমান্ড্যান্টবৃন্দ, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপনাগুলো উদ্বোধনের মাধ্যমে এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিংয়ে একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। উদ্বোধনকৃত ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলোতে সর্বাধুনিক (স্টেট অব আর্টস) গবেষণাগার বিদ্যমান, যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
হল অব ফেম-এর দেওয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকগুলো, সব স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো। সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল এমআইএসটির পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব, যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে তিনি সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জও পরিদর্শন করেন।
নতুন উদ্বোধনকৃত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি বিদ্যমান। উক্ত লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রায় চার হাজার বই সম্মলিত “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। এতে আগামী প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়াররা জাতির জনকের জীবন-কর্মকান্ড এবং স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে। একইসঙ্গে লাইব্রেরিতে আনুমানিক আড়াই হাজার বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘শেখ রাসেল আঙ্গিনা’, যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে।
মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ১৯৯৯ সালে নতুন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াই সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে চারটি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে সর্বমোট দুই হাজার ৯১৭ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে আটটি বিভাগে এমএসসি, তিনটি বিভাগে এমফিল এবং সাতটি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে।
একাত্তর/এআর