শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সাময়িক জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আগামী ঈদুল আজহার পরে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নাও থাকতে পারে।
রোববার সচিবালয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানা তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৯ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। সেজন্য শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। ঈদুল আজহার পরে শনিবার খোলা রাখা নাও লাগতে পারে।
এর আগে রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এরমধ্যে ছেলেদের পাশের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭। পাশাপাশি এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তিনি বলেন, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে মোট পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর ছাত্রের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
গত বছরের চেয়ে এবার পাশের হার বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ কমেছে বলে জানান তিনি।
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখানে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে আমি একটা সুপারিশ করেছিলাম, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে অবস্থান পরিস্কার করেছেন। ৩৫ বছর করা সম্ভব নয়, তাই এটা নিয়ে অপপ্রচার বা আন্দোলনের কোন যৌক্তিকতা নেই।
এসময় শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী ডিপ্লোমাতে ভর্তি হতে আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর শীর্ষে থাকা যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এছাড়া, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ০২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার যথাক্রমে ৭৯ দশমিক ৬৬ ও ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৫৪ হাজার ৭৮ জন।