সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকে যে খবর আর মতামত এখন চলছে তাতে বোঝা যায়, দেশের মানুষ এসময়ে দুই পরিস্থিতিতে পড়েছে। প্রথমত করোনা ভাইরাস, দ্বিতীয়ত উগ্র ধর্মবাদী রাজনীতি। করোনা ভাইরাস স্বাস্থ্যবিধি মানলে, সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথ লকডাউন হলে, সবাই টীকা পেলে হয়তো আর বছর দুয়েকের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদী রাজনীতির ভাইরাস মোকাবেলা হবে কিভাবে? এখানেই প্রশ্ন গণতান্ত্রিক রাজনীতি আর শিক্ষা-সংস্কৃতির।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি আমরা। আর এই ১০ এপ্রিল স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেরও সুবর্ণজয়ন্তী। একাত্তরের ১০ এপ্রিল গঠিত হয়েছিল মুজিবনগর সরকার, যাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। আদর্শ ছিলো অর্থনীতি-শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য হবেনা। দেশ হবে গণতান্ত্রিক। এখানে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার হবেনা। কারণ পাকিস্তান ধর্মের নামে করেছে শাসন-শোষন। তাই স্বাধীন দেশে ধর্ম হবে যার যার ব্যক্তিগত, রাষ্ট্র হবে সবার। যখন ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে রাজনীতি হয়, সেটা ধর্ম হোক বা অন্য কিছু, তখন ব্যক্তি ও রাজনীতি দুটোই সংকটে পড়ে। পড়েছেও বার বার। এ পঞ্চাশ বছরেও ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের কারণে ঘটেছে সাতক্ষীরা- নাসিরনগর- শাল্লা কিংবা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার মতো ঘটনা। এসবের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রাজনীতি বা চিন্তা সংস্কৃতির তৎপরতা কি হচ্ছে? কিভাবে হেফাজত সামাজিক সংগঠনের কথা বলে রাজনৈতিক বয়ানের জোট হয়ে উঠেছে? দেশের পঞ্চাশ বছরেও কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেলোনা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির ভাইরাস?
এসব নিয়ে নূর সাফা জুলহাসের উপস্থাপনায় একাত্তর মঞ্চে আজ অতিথি হিসেবে থাকছেন:
১। নাঈমুল ইসলাম খান
প্রধান সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি
২। মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী
সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম
৩। মাওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরী
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট