চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (এফডিসি) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ-নিপুণ দ্বন্দ্বের কোনো সুরাহা হয়নি। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে নিপুণ আক্তারের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, জায়েদ খানের পক্ষ থেকে কিছু নথিপত্র এফিডেভিট আকারে জমা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো স্ট্যাডি করতে আদালতের কাছে সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং আগামী মঙ্গলবার রুলের শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন।
এর আগে সোমবার চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বারজজ আদালতের জারি করা স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয়। সে হিসেবে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্যই থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিপুণকে ১৩ ভোটে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ফল না মেনে নির্বাচনের সময় ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। এমনকি এ পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভালোবাসার সেরা ১০ চলচ্চিত্রের কথা
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কী না- সে বিষয়ে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
একাত্তর/আরএ